ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ শিশু সন্তানের পর মারা গেল তার বাবা ও মা

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর

প্রকাশিত: ১৭:০১, ৭ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ শিশু সন্তানের পর মারা গেল তার বাবা ও মা

ছবি: জনকণ্ঠ

গাজীপুরে সিলিন্ডারের লিকেজ দিয়ে নির্গত গ্যাসের বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শিশু সন্তানের মৃত্যুর ৪ দিন পর তার বাবা-মা মারা গেছে। ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দম্পতির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে তাদের পরিবারের তিনজনের মধ্যে সবার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জিএমপি’র পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম ওই হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমানের বরাত দিয়ে জানান, গত রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে দগ্ধ অবস্থায় শিশু সন্তানসহ এক দম্পতিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। এখানে আনার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনমাস বয়সের শিশু রায়হান মারা যায়। শিশুটি মৃত্যুর চারদিন পর আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শিশুটির মা হাফিজা আক্তার (২০) এবং বৃহষ্পতিবার ভোররাতে বাবা মো. রিপন (২৩) মারা যান। এ দম্পতির মধ্যে হাফিজার শরীরে ৭৫ শতাংশ ও রিপনের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার তারিয়া বাজার এলাকায়।

ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম জানান, গত রবিবার ভোরে শিশু সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর জন্য পানি গরম করতে রান্না ঘরে যান হাফিজা। তিনি চুলা জ্বালাতে দিয়াশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে গুরুতর দগ্ধ হন ওই দম্পতি ও তাদের শিশু সন্তান রায়হান। এ ঘটনায় ঘরের তোষক ও কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। ঘটনার সময় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল। সিলিন্ডারের রেগুলেটর ঠিকমতো না আটকানোয় রাতভর লিকেজ দিয়ে গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরে গ্যাস জমে ছিল। ফলে রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে এসে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আবির

×