
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা ও সম্পত্তি জব্দ করেছেন ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। জাল-জালিয়াতি এবং অর্থ পাচার, মানিলন্ডারিং অভিযোগে বুধবার গুলশান থানায় মামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার এ কথা নিশ্চিত করে সংস্থাটি। রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান পরিচালনা করে সিআইডি। অনুসন্ধানে জানা যায়, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লি. বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে জমি কিনে বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে বিক্রি করে।
বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে রফিকুল ইসলামের দুই ছেলে কাউসার আহমেদ অপু এবং মেহেদী হাসান দিপু ২০২২ সালের ৮ মার্চ বিভিন্ন দলিলে ৭ দশমিক ৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করে। উক্ত তফসিলভুক্ত জমির মধ্যে একই বছরে জুনের এক তারিখে তারা ৬ দশমিক ৩৩৭৫ একর জমি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লিমিটেড এর নিকট পুনরায় ৫,৭৩,৬০,০০০ টাকা বিক্রি প্রতারণার মাধ্যমে উপার্জন করে।
এছাড়াও পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতিতে বালুভরাট করার ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক হতে ২৭০ কোটি টাকা এবং ইউনিয়ন ব্যাংক হতে ২০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে। ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা হতে ভুয়া মূল্যায়ন কপি তৈরি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় সম্পত্তির মূল্য দেখিয়ে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করে ঋণের টাকা পরিশোধ না করে অর্থ পাচারের মাধ্যমে ২০,০০,০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
একই সঙ্গে আদালতের আদেশে ১৩টি ব্যাংক হিসাবের প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল ০২ এ থাকা ১,০০,০০০ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস ক্রোক করে।
আফরোজা