
কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের পাশে টং ঘর বানিয়ে আশ্রয় নেওয়া দুর্গত মানুষের মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন। বৃষ্টির পানি নদী, খাল, বিলে প্রবাহিত হতে না পেরে মানুষের ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ায় শত শত পরিবারকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে যশোর-চুকনগর সড়কের কেশবপুরের মধ্যকুল এলাকায় সড়কের পাশে টং ঘর বানিয়ে আশ্রয় নেওয়া ৭০টি পরিবারের মাঝে তিনি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল—চাল, ডাল, লবণ, চিনি, তেল, মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া গুড়া। প্রতিটি পরিবারকে এসব ত্রাণসামগ্রীর একটি করে প্যাকেট দেওয়া হয়।
চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি ঢুকে কেশবপুর পৌরসভার প্রায় সাত হাজার পরিবারের মধ্যে চার হাজারের মতো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতার পানি বাড়িঘরে ঢুকে পড়ায় অসংখ্য পরিবার বাধ্য হয়ে সড়কের পাশে টং ঘর বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
জলাবদ্ধতার পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে এমন অবস্থায় আরও অনেক পরিবার পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পৌরসভার অধিকাংশ এলাকাতেই হাঁটুপানি, কোথাও বা তার চেয়েও বেশি পানি জমে আছে। এই পানি খাল বা নদী দিয়ে বের হতে পারছে না, কারণ সমতল ভূমির তুলনায় নদীগুলোতে পলি জমে উঁচু হয়ে গেছে। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি বের হতে না পেরে মাঠঘাট, বসতবাড়ি, হাটবাজার তলিয়ে যাচ্ছে।
মিমিয়া