
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকারের অধীন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালিত অন্যতম জনপ্রিয় বিনিয়োগ প্রকল্প হলো পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র। দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ আয় নিশ্চিত করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।
এই সঞ্চয়পত্রটি প্রথম চালু হয় ১৯৭৭ সালে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের সাধারণ মানুষকে সঞ্চয়ের প্রতি উৎসাহিত করা এবং অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্পটি বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বার্ষিক মুনাফার হার ১১.৮৩ শতাংশ। বিনিয়োগকারী নির্ধারিত সময় পরপর মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন এবং মেয়াদ শেষে মূলধনও ফেরত পান।
* এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৫ বছর, অর্থাৎ নির্ধারিত পাঁচ বছর পর এটি পরিপক্ব (mature) হয়।
* এটি বিভিন্ন মূল্যমানের হয়ে থাকে, যাতে সব শ্রেণির মানুষ বিনিয়োগ করতে পারেন।*যেসব মূল্যমানে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়:
১০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা, ১ হাজার টাকা, ৫ হাজার, ১০ হাজার, ২৫ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ৫ লাখ, ১০ লাখ ও ২৫ লাখ টাকা।
সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে নিকটস্থ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, ব্যাংক, অথবা পোস্ট অফিসে যেতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে সোনালী সেবার (Sonali eSheba) মাধ্যমেও আবেদন করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
যারা ঝুঁকিমুক্ত ও নিয়মিত মুনাফা পেতে চান, তাদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র হতে পারে একটি আদর্শ পছন্দ। সরকারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে যেমন সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তেমনি ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সম্ভব।
ছামিয়া