ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

ফুসফুসের ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যা করণীয়

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ৭ আগস্ট ২০২৫

ফুসফুসের ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যা করণীয়

ছবি: সংগৃহীত

ফুসফুসের ক্যানসার বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী ক্যানসারগুলোর একটি, যা পুরুষ ও নারীদের মৃত্যুহার বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখে।

ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়কহার্ড হাসপাতালের সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ডা. তানভীর মাজীদ জানান, ফুসফুসের ক্যানসার মূলত দুটি প্রধান ধরনের হয়ে থাকে—নন-স্মল সেল লাং ক্যানসার (NSCLC) এবং স্মল সেল লাং ক্যানসার (SCLC)। NSCLC সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং এটি তুলনামূলক ধীরে বৃদ্ধি পায়; এর তিনটি উপপ্রকার হলো অ্যাডেনোকারসিনোমা, স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা ও লার্জ সেল কারসিনোমা, যার মধ্যে লার্জ সেল ক্যানসার তুলনামূলক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে, SCLC প্রায় ১০–১৫% ক্ষেত্রে দেখা যায় এবং এটি ধূমপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, দ্রুত বৃদ্ধি ও মেটাস্টাসিসের কারণে এটি চিহ্নিত করাও কঠিন এবং চিকিৎসাও জটিল হয়ে পড়ে, ফলে একাধিক পদ্ধতির (যেমন কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন) প্রয়োজন হয়।

এছাড়াও নিউরোএন্ডোক্রাইন ক্যানসার (NEC) এবং ব্রঙ্কিয়াল কারসিনয়েডের মতো কিছু বিরল প্রকারের ফুসফুস ক্যানসারও রয়েছে, যেগুলো ধীরে বাড়ে এবং ধূমপানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।

ডা. মাজীদ বলেন, ক্যানসারের ধরন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা নির্ধারণ করে রোগীর চিকিৎসার ধরন এবং বেঁচে থাকার সম্ভাবনা। আজকের দিনে মলিকুলার বায়োলজি ও জিনগত পরীক্ষার অগ্রগতির ফলে টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির মতো চিকিৎসা অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর হয়ে উঠেছে, এমনকি উন্নত স্তরের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও। তিনি আরও বলেন, ক্যানসারের ধরন জানা যেমন জরুরি, তেমনি এর লক্ষণগুলোও চিনে রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ—যেমন দীর্ঘস্থায়ী কাশি, বুক ব্যথা, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ক্লান্তি বা নিঃশ্বাসের কষ্ট ইত্যাদি অবহেলা করা উচিত নয়। সময়মতো শনাক্তকরণ ও স্ক্রিনিং (যেমন লো-ডোজ সিটি স্ক্যান) রোগ প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে এবং চিকিৎসার ফলাফল উন্নত করে।

শিহাব

×