
ছবি: সংগৃহীত
আজকাল সবাই এআই নিয়ে কথা বলছে। অনেকে বলছে এটা ইন্টারনেট বা ক্লাউড যুগের মতোই একটা বড় পরিবর্তন। তবে এসব প্রযুক্তি হুট করে আসেনি—ধাপে ধাপে গড়ে উঠেছে। ইন্টারনেট যেমন এআই’র জন্য ভিত্তি তৈরি করেছে।
সেওংজু ইউন নামে একজন টেড টকে বলেছিলেন—যেমন প্রেমে মানুষ বদলায়, তেমনি বাজারেও পছন্দ বদলায়। একটা পণ্য আজ জনপ্রিয়, কাল নয়।
তিনি উদাহরণ দেন—১৯৬৯ সালে প্রথম কমান্ড লাইন তৈরি হলো, এরপর গ্রাফিকাল ইন্টারফেস, তারপর ওয়েব ইন্টারফেস, এরপর আরও উন্নত প্রযুক্তি। মানে, পুরনো যায়, নতুন আসে।
ইউনের মতে, মানুষ কী পছন্দ করে সেটা জানলে ভালো পণ্য বানানো যায়। এটা “পছন্দের নীতি”। যেমন কেউ কী খায় বা চায়, সেটা জানলে সাহায্য বা পণ্য দেওয়া সহজ হয়।
চাকরি বা নিলামের মতো ক্ষেত্রেও একই নিয়ম: যার যেটা দরকার বা যার যেটা দক্ষতা আছে, তাকে সেটাই দিতে হবে।
একটা ফোনের আকার নয়, তার ব্যবহার কেমন লাগে, সেটাই আসল। মানুষ এখন এমন প্রযুক্তি চায় যেটা সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং নিজের মতো করে ব্যবহার করা যায়।
মানুষকে প্রশ্ন করে তথ্য নেওয়া কঠিন। বরং প্রাকৃতিক ভাষায়, বন্ধুর মতো কথা বলে তথ্য নেওয়া সহজ। এতে মানুষ বিশ্বাস করে।
আগে মানুষ এআই’কে বলে দিত কী করতে হবে। এখন এআই নিজেই অনেক কিছু বুঝে নিচ্ছে, সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মানে, এখন মানুষ ছাড়া সিদ্ধান্ত নেবার মতো প্রযুক্তিও আসছে।
যদি এমন কিছু বানাতে চান যা মানুষ ছাড়া চলতেই পারবে না, তাহলে জানতে হবে তারা কী চায়, কীভাবে চায়, কোন ভাষায় চায়। আর সেটা বুঝেই তৈরি করতে হবে ভবিষ্যতের পণ্য।
আবির