ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

নতুন পৃথিবীর সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা, থাকতে পারে এলিয়েন!

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ৮ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৫:৪১, ৮ জুলাই ২০২৫

নতুন পৃথিবীর সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা, থাকতে পারে এলিয়েন!

ছবি: সংগৃহীত।

বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান অঙ্গনে আলোড়ন ফেলেছে এক মুসলিম বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণার সাফল্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার উদ্যোগে আবিষ্কৃত হয়েছে একটি নতুন গ্রহ TOI-1846 b, যেটিকে অনেক বিজ্ঞানী “নতুন পৃথিবী” বা "Earth-like Exoplanet" হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন মরক্কোর প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ ড. আব্দুর রহমান সোবকিউ, যিনি আফ্রিকার অন্যতম শীর্ষ জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিম দেশসমূহের তরুণ বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা দল নাসার TESS (Transiting Exoplanet Survey Satellite) টেলিস্কোপের ডেটা বিশ্লেষণ, স্পেকট্রোস্কোপিক পর্যবেক্ষণ এবং গ্রাউন্ড-বেইজড টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহটির অস্তিত্ব নিশ্চিত করে।

নতুন আবিষ্কৃত TOI-1846 b গ্রহটি আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এটি একটি সুপার-আর্থ শ্রেণির গ্রহ, যার আয়তন পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১.৫ গুণ বড় এবং ভর প্রায় ৪.৪ গুণ বেশি।

এটি তার নিজস্ব নক্ষত্রকে মাত্র ৩.৯ দিনে একবার পরিক্রমা করে, যেখানে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণে ৩৬৫ দিন নেয়। এ গ্রহটির গড় পৃষ্ঠতাপমাত্রা প্রায় ২৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সাধারণত প্রাণের জন্য চরম বলে বিবেচিত হলেও, নির্দিষ্ট শর্তে বিশেষধরনের প্রাণী বা অণুজীব সেখানে টিকে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

TOI-1846 b গ্রহটির বিশেষত্ব হলো, এটি একটি “রেডিয়াস ভ্যালি” (Radius Valley) অঞ্চলে অবস্থিত — একটি বিরল কক্ষপথ অঞ্চল যেখানে সাধারণত পানিসমৃদ্ধ পাথুরে গ্রহ দেখা যায় না। এ অঞ্চলে এমন গ্রহ আবিষ্কার হওয়া অত্যন্ত বিরল এবং গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহটির বয়স প্রায় ৭.২ বিলিয়ন বছর — যা প্রাণ সৃষ্টির এবং বিকাশের জন্য একটি আদর্শ সময়কাল। গ্রহটির গঠন, উপাদান ও তার অবস্থান হ্যাবিটেবল জোন-এর কাছাকাছি হওয়ায় গবেষকেরা ধারণা করছেন, সেখানে এলিয়েন জাতীয় প্রাণ বা অণুজীবের অস্তিত্ব থাকতে পারে।

বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, TOI-1846 b ভবিষ্যতে বহির্জাগতিক প্রাণের সন্ধানে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। বর্তমানে নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) এই গ্রহটিকে ঘিরে আরও বিস্তারিত গবেষণার উদ্যোগ নিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আবিষ্কারটি শুধু মহাকাশবিজ্ঞানের জন্যই নয়, বরং বিজ্ঞানচর্চায় মুসলিম বিশ্ব এবং আফ্রিকান বিজ্ঞানীদের অবদানের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=a5XA_5zfFGc

সায়মা ইসলাম

×