ছবি: সংগৃহীত (এনডিটিভি)
সূর্যের বাইরের স্তর ‘করোনা’ নিয়ে নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সোলার অবজারভেটরির গবেষকেরা সূর্যের করোনায় বৃষ্টিপাতের মতো এক বিরল ও গোলাপি দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করেছেন।
সূর্যের এই বাইরের স্তর মহাকাশে লাখ লাখ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত এবং এটি সূর্যের অন্যান্য অংশের তুলনায় রহস্যজনকভাবে বেশি উষ্ণ। এই অস্বাভাবিক উষ্ণতাকেই বিজ্ঞানীরা বলেন ‘করোনাল হিটিং প্রবলেম’ বা করোনাল তাপ সমস্যা।
গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি থেকে প্লাজমা ঠান্ডা হয়ে সূর্যের পৃষ্ঠে ফিরে আসছে, যা বৃষ্টিপাতের মতোই একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি করছে। বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাকে বলছেন ‘করোনাল রেইন’ বা সূর্য-পৃষ্ঠে প্লাজমার বৃষ্টি।
এই গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন ১.৬ মিটার দৈর্ঘ্যের গুড সোলার টেলিস্কোপ। এতে সূর্যের বাইরের স্তরের সূক্ষ্ম কাঠামো স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। পাশাপাশি ‘অ্যাডাপটিভ অপটিকস’ নামের একটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় বাধা অতিক্রম করে সূর্যের বিশদ ছবি ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞানী ডার্ক শ্মিট বলেন, ‘সূর্য পর্যবেক্ষণে বায়ুমণ্ডলের অস্থিরতা বড় বাধা। কিন্তু নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা সূর্যের অভ্যন্তর থেকে প্লাজমার বৃষ্টির নিখুঁত চিত্র পেয়েছি।’
গবেষক থমাস শ্যাড জানান, এই সূর্য-বৃষ্টির রেখাগুলো মাত্র ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত সংকীর্ণ হতে পারে। এত সূক্ষ্ম এই ঘটনা আগে কখনো এতো স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি।
এই আবিষ্কার থেকে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, সূর্যের অগ্ন্যুৎপাত ও ভূচৌম্বকীয় ঝড় সম্পর্কে আগাম তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। যা পৃথিবীর স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং জলবায়ুর ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব
