
ছবি: সংগৃহীত
ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) বা যকৃতের চর্বি জমার সমস্যা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর প্রধান কারণ। চিকিৎসা ছাড়াও অনেকে প্রাকৃতিক উপায় যেমন অ্যাপল সিডার ভিনেগার (Apple Cider Vinegar – ACV) ব্যবহারে উপকার পেতে পারেন বলে মনে করেন। কিন্তু এই ভিনেগার কি সত্যিই লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে?
গবেষণাভিত্তিক তথ্য:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাপল সিডার ভিনেগার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে এবং রক্তে গ্লুকোজ ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই উপকারগুলো পরোক্ষভাবে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১৪ সালের একটি প্রাণীর ওপর চালানো গবেষণায় দেখা যায় যে অ্যাপল সিডার ভিনেগার লিভারে চর্বি জমার পরিমাণ কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে মানবদেহে এই প্রভাব কতটা কার্যকর, সে বিষয়ে এখনো আরও গবেষণা প্রয়োজন।
পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতামত:
বিশেষজ্ঞদের মতে, ACV একা কোনো "ম্যাজিক সলিউশন" নয়। এটি একটি সহায়ক উপাদান হতে পারে, তবে প্রধান চিকিৎসা হতে পারে না। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাই ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বেশি কার্যকর।
কীভাবে ব্যবহার করবেন :
*প্রতিদিন ১-২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে।
* অতিরিক্ত গ্রহণ এড়াতে হবে, কারণ এটি পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া বা দাঁতের এনামেল নষ্ট করতে পারে।
* ডায়াবেটিস বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার ফ্যাটি লিভার কমাতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে, তবে এটি চিকিৎসার বিকল্প নয়। লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় সর্বোত্তম পথ হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা। অ্যাপল সিডার ভিনেগার শুধুমাত্র একটি সহায়ক উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
ছামিয়া