
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (MIT) সম্প্রতি প্রথমবারের মতো চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের উপর একটি ব্রেইন-স্ক্যান (মস্তিষ্ক স্ক্যান) গবেষণা সম্পন্ন করেছে। চার মাস ধরে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফল বেশ চমকপ্রদ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ৮৩ শতাংশই লিখার কয়েক মিনিট পরেও নিজেদের লেখা একটি বাক্যও স্মরণ করতে পারেননি। বিপরীতে, যারা কোনো ধরনের এআই ছাড়াই লিখছিলেন, তাদের মনে রাখার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি।
মস্তিষ্কের কার্যক্রমে বড় ধস:
এআই ব্যবহারকারীদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ৪৭% হ্রাস পেয়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের পরেও এই নিম্নমানের মস্তিষ্কীয় সক্রিয়তা স্থায়ীভাবে রয়ে গেছে।
লেখার মান নির্ধারণ:
যদিও এআই ব্যবহার করে লেখা হয়েছে টেকনিক্যালি সঠিকভাবে, তবে শিক্ষকরা তা বর্ণনা করেছেন ‘রোবটিক ও গভীরতা বর্জিত’ হিসেবে।
দ্রুততা বাড়লেও শেখার ক্ষতি:
চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরা ৬০% দ্রুততার সাথে কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছেন, কিন্তু শেখার জন্য যে মানসিক পরিশ্রম প্রয়োজন, তা ৩২% কমে গেছে।
সেরা ফলাফল কারা পেলেন?
যেসব অংশগ্রহণকারী শুরুতে এআই ব্যবহার না করে নিজেরাই লিখেছিলেন এবং পরে শুধুমাত্র সহায়তা হিসেবে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন, তারা সর্বোচ্চ মস্তিষ্কীয় সক্রিয়তা, স্মৃতিশক্তি ও সামগ্রিক দক্ষতা দেখিয়েছেন।
এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, এআই আমাদের দ্রুত সাহায্য করতে পারলেও তা আমাদের চিন্তার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। সঠিক ব্যবহারই চাবিকাঠি—চ্যাটজিপিটির মতো এআই টুলকে চিন্তার সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, বিকল্প হিসেবে নয়।
এমআইটি এর এই প্রাথমিক গবেষণা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরনই নির্ধারণ করে তার উপকার বা ক্ষতির দিক।
ছামিয়া