
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নতুন নির্বাহী আদেশে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ ১ আগস্ট শুক্রবার থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন শুল্কহার কার্যকর হচ্ছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক এখনও অসম, তাদের রপ্তানি করা পণ্যের ওপর মূল্যভিত্তিক অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যগুলোর জন্য শুল্ক নির্ধারণে একটি নির্দিষ্ট কাঠামো অনুসরণ করা হবে।
তবে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদের জন্য কিছু ছাড় দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যদিও এসব দেশ চূড়ান্ত চুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত তাদের ওপর আগের শুল্কহারই বহাল থাকবে।
বেশির ভাগ দেশের জন্য এই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা ইতিমধ্যে দুই দফা পেছানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে নতুন এ নির্বাহী আদেশ অনুসারে কোন দেশে কত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুসারে দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে কত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
আফগানিস্তান ১৫%
আলজেরিয়া ৩০%
অ্যাঙ্গোলা ১৫%
বাংলাদেশ ২০%
বলিভিয়া ১৫%
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ৩০%
বতসোয়ানা ১৫%
ব্রাজিল ১০%
ব্রুনেই ২০%
কম্বোডিয়া ১৯%
ক্যামেরুন ১৫%
চাদ ১৫%
কোস্টারিকা ১৫%
কোট দিভোয়ার (আইভরি কোস্ট) ১৫%
কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী ১৫%
ইকুয়েডর ১৫%
ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ১৫%
ভারত ২৫%
ইন্দোনেশিয়া ১৯%
ইরাক ৩৫%
ইসরায়েল ১৫%
জাপান ১৫%
জর্ডান ১৫%
কাজাখস্তান ২৫%
লাওস ৪০%
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ১০%
ফিজি ১৫%
ঘানা ১৫%
গায়ানা ১৫%
আইসল্যান্ড ১৫%
লেসোথো ১৫%
লিবিয়া ৩০%
লিচটেনস্টেইন ১৫%
মাদাগাস্কার ১৫%
মালাউই ১৫%
মালয়েশিয়া ১৯%
মরিশাস ১৫%
মলদোভা ২৫%
মোজাম্বিক ১৫%
মিয়ানমার (বার্মা) ৪০%
নামিবিয়া ১৫%
নাউরু ১৫%
নিউজিল্যান্ড ১৫%
নিকারাগুয়া ১৮%
নাইজেরিয়া ১৫%
নর্থ মেসেডোনিয়া ১৫%
নরওয়ে ১৫%
পাকিস্তান ১৯%
পাপুয়া নিউগিনি ১৫%
ফিলিপাইন ১৯%
সার্বিয়া ৩৫%
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০%
দক্ষিণ কোরিয়া ১৫%
শ্রীলঙ্কা ২০%
সুইজারল্যান্ড ৩৯%
সিরিয়া ৪১%
তাইওয়ান ২০%
থাইল্যান্ড ১৯%
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ১৫%
তিউনিসিয়া ২৫%
তুরস্ক ১৫%
উগান্ডা ১৫%
যুক্তরাজ্য ১০%
ভানুয়াতু ১৫%
ভেনেজুয়েলা ১৫%
ভিয়েতনাম ২০%
জাম্বিয়া ১৫%
জিম্বাবুয়ে ১৫%
গত মে মাসে যুক্তরাজ্যই প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করে। এই চুক্তিতে যুক্তরাজ্যের পণ্যে ১০ শতাংশ ভিত্তি শুল্ক ধার্য করা হয়, যদিও কিছু পণ্যে ছাড় ও কোটার ব্যবস্থাও রাখা হয়।
তবে সম্প্রতি স্কটল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পরও এই বাণিজ্য চুক্তির কিছু বিষয় নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ট্রাম্প চান না মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্যে এই শুল্কের কবলে পড়ুক।
এই চার্টে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতির (Reciprocal Tariffs) আওতায় ২০২৫ সালে সর্বোচ্চ শুল্কহারপ্রাপ্ত ২০টি দেশের তালিকা দেখানো হয়েছে।
সানজানা