
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের দ্বিতীয় সুপার প্রেসার বেলুন সফলভাবে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানাকা বিমানবন্দর থেকে উৎক্ষেপণ করেছে। ৪ মে (রবিবার) সকাল ১১টা ৩৮ মিনিটে (স্থানীয় সময়) বেলুনটি আকাশে ওড়ে এবং উৎক্ষেপণের মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে এটি ১,০৮,০০০ ফুট বা প্রায় ৩৩.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
বেলুনটি হেলিয়াম গ্যাসে ভরা এবং এর আকার একটি পূর্ণ ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান – প্রায় ১৮.৮ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। এটি প্রতি মিনিটে ১,০০০ ফুট বেগে উপরের দিকে উঠেছে।
এই বেলুনের প্রধান উদ্দেশ্য নাসা’র উদ্ভাবিত সুপার প্রেসার প্রযুক্তি আরও পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত করে তোলা। সংস্থাটি আশা করছে, বেলুনটি ১০০ দিন পর্যন্ত ভূপৃষ্ঠের উপরে ভেসে থাকতে পারবে। এই দীর্ঘমেয়াদি মিশনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণা ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
নাসার বেলুন প্রোগ্রাম অফিসের প্রধান গ্যাব্রিয়েল গার্ডে বলেন, আমাদের দ্বিতীয় সুপার প্রেসার বেলুনের নিখুঁত উৎক্ষেপণ এবং নির্ধারিত উচ্চতায় পৌঁছানো একটি অসাধারণ অর্জন। একই সঙ্গে দুটি বেলুন মিশন সফলভাবে পরিচালনা করা ছিল চ্যালেঞ্জিং, তবে আমাদের দক্ষ দল ও সহায়তাকারী টিমের জন্য তা সম্ভব হয়েছে।
বেলুনটি মূলত দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্য অক্ষাংশে সমুদ্রের উপর দিয়ে ঘুরবে। তবে কিছু কিছু স্থানে স্থলভাগের উপর দিয়েও যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশে এটি খালি চোখে দেখা যেতে পারে।
নাসা সাধারণ মানুষকে এই বেলুনটির রিয়েল-টাইম গতিপথ পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিয়েছে এবং এ জন্য সংস্থার ওয়েবসাইটে একটি লাইভ ট্র্যাকিং লিংকও উন্মুক্ত করেছে।
বেলুনটি শুধু প্রযুক্তি যাচাইয়ের কাজই করছে না, বরং এতে সংযুক্ত রয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট আকারের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও প্রযুক্তিগত প্রদর্শনী। এগুলোর মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞানের নতুন নতুন দিক উন্মোচনের আশা করছেন গবেষকরা।
সূত্র: নাসা
রবিউল