
ক্ষেতে কৃষক মোঃ শফিউল আলম
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পূর্ব রূপশংকর গ্রামের কৃষক মোঃ শফিউল আলম চিনাবাদাম চাষ করে পেয়েছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। আধুনিক প্রযুক্তি ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে মাত্র ৩০ শতক জমিতে বাদাম চাষ করে তিনি বাম্পার ফলন তুলেছেন, যা এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। তার সফলতা দেখে আশপাশের কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চিনাবাদামের বীজ বপন করেন শফিউল। মাত্র চার মাসের মধ্যে জমি থেকে বাদাম উত্তোলন করেন তিনি। তার ক্ষেতে ফলনের পরিমাণ এতটাই বেশি হয়েছে যে, প্রতিবেশী কৃষকরা তার খেত দেখতে ভিড় করছেন।
কৃষক শফিউল আলম বলেন, চিনাবাদাম চাষে তেমন খরচ হয়নি। জমিতে নিজের গোবর ব্যবহার করেছি, কয়েকবার পানি দিয়েছি, কোনো রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করিনি। খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আশা করছি অন্তত ৫০ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করতে পারব।
তিনি আরও জানান, কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম সার্বক্ষণিক পাশে ছিলেন। তার উৎসাহ ও পরামর্শেই তিনি বাদাম চাষে আগ্রহ পান।
স্থানীয় কৃষকরাও শফিউলের সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তারা বলেন, শ্রম দিলে ফল মেলে—এটা প্রমাণ করলেন শফিউল ভাই। তার খেতের ফলন দেখে আমরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছি।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম বলেন, চিনাবাদামের পাতা দেখতে যেমন সুন্দর, এর খাদ্যগুণও অনেক। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, শরীরের জন্য উপকারী। বাহুবলের মাটি ও আবহাওয়া বাদাম চাষের জন্য আদর্শ। শফিউল আলমের খেতে বাম্পার ফলন হয়েছে—এটা প্রমাণ করে সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিশ্রম থাকলে কৃষিতেও সাফল্য সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বিনার উন্নত জাতের ধান, তৈলবীজ, ডাল, গম ইত্যাদি সঠিকভাবে চাষ করলে প্রচলিত জাতের তুলনায় দ্বিগুণ-তিনগুণ ফলন পাওয়া সম্ভব। কৃষকদের নতুন ফসলে আগ্রহী করে তুলতে এই ধরনের বাস্তব উদাহরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এসএফ