ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানের নতুন নিষেধাজ্ঞা: আকাশের পর জলপথেও ধরা ভারত

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৫ মে ২০২৫; আপডেট: ০৫:১৮, ৫ মে ২০২৫

পাকিস্তানের নতুন নিষেধাজ্ঞা: আকাশের পর জলপথেও ধরা ভারত

ছবি: প্রতীকী

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্তে গুলি বিনিময় ছাড়া সরাসরি সামরিক সংঘাতে না জড়ালেও কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৌ-বাণিজ্যিক নানা পদক্ষেপে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেন একে অপরকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

শনিবার (৩ মে) পাকিস্তান ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজের নিজ দেশের বন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দেশের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, কোনো ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ পাকিস্তানের বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না, পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজও ভারতের কোনো বন্দর সফর করবে না। বিশেষ ছাড়ের প্রয়োজন হলে তা আলাদাভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ভারত জানায়, পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজকে ভারতের কোনো বন্দরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব শিপিং এক বিবৃতিতে বলেন, জনস্বার্থে, ভারতীয় সম্পদ, পণ্য ও অবকাঠামোর নিরাপত্তার স্বার্থে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একই দিনে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পাকিস্তান থেকে উৎপন্ন বা রপ্তানিকৃত সমস্ত পণ্যের আমদানি বা ট্রানজিট, তা সরাসরি বা পরোক্ষজাতীয় নিরাপত্তা ও জননীতির স্বার্থে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

এর ফলে ভারত-পাকিস্তানের একমাত্র কার্যকর বাণিজ্যপথ, ওয়াঘা-আটারি ক্রসিং বন্ধ থাকায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদিও আগ পর্যন্ত কিছু পরোক্ষ আমদানি চলছিল, বিশেষ করে ওষুধ, ফল ও তেলবীজজাত পণ্যের ক্ষেত্রে।

পুলওয়ামা হামলার পর ২০১৯ সাল থেকেই পাকিস্তানি পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের মোট আমদানিতে পাকিস্তানি পণ্যের অংশ ছিল এক শতাংশেরও কম।

নতুন এই উত্তেজনা পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে কূটনৈতিক অচলাবস্থা আরও ঘনীভূত করছে।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=aU6B2M4PBHU

রাকিব

আরো পড়ুন  

×