ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, ভারতের অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের সঙ্গে মুখোমুখি হতে গিয়ে এক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্স থেকে আমদানি করা চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আকাশ সীমায় প্রবেশের জন্য যাত্রা করেছিল, কিন্তু পাকিস্তান বিমান বাহিনী দ্রুত তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োগ করে ভারতীয় বিমানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত করে দেয়।
জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতের পাইলট অভিনন্দন বর্তমান যখন পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন এবং তার বিমানটি ভূপাতিত হয়েছিল, তখনকার পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান ঘটনাটি তুলনা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২৯-৩০ এপ্রিল রাতের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীর চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান হরিয়ানার আম্বালা বিমান ঘাটির থেকে উডয়ন করে পাকিস্তানের দিকে অগ্রসর হয়। বিমানগুলোর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের আকাশ সীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতীয় বিমানগুলোর রাডার, সেন্সর ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্লক করে দেয়। এর ফলে ভারতীয় বিমানগুলো একে অপরের সঙ্গে এবং স্থলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে।
একই সময়, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেটনসি যুদ্ধবিমানগুলো আকাশে উড়ছিল, যা ভারতীয় বিমান বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। বাধ্য হয়ে, ভারতীয় বিমানগুলো শ্রীনগরে জরুরি অবতরণ করতে হয়, আম্বালায় ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে।
ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিক স্পাইস এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল দিয়ে সজ্জিত ছিল, যার সীমা ২০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতীয় বিমানগুলোকে তাদের আকাশ সীমার মধ্যে থাকার পরও পাকিস্তানের মাটিতে হামলা করতে বাধা দেয়। অন্যদিকে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো পিএন ১৫ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত ছিল, যা ২৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে সক্ষম।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার ব্যবস্থার কারণে ভারতীয় বিমানগুলো তাদের আকাশ সীমা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়নি। যদি এমনটি না ঘটত, তবে ভারতীয় বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশে হামলা চালাতে পারত, এমনটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এদিকে, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ফ্রান্স থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে।
মারিয়া
