
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রনায়ক ভ্লাদিমির পুতিন এবার প্রথমবারের মতো তাঁর ব্যক্তিগত বাসস্থানের দরজা খুলে দিলেন সাধারণ মানুষের চোখে। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার শীর্ষ ক্ষমতায় থাকা এই নেতা এতদিন নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপনকে চূড়ান্তভাবে গোপন রেখেছেন। তবে এবার, রীতিমতো ক্যামেরা টিমসহ সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পুতিন।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্রেমলিনের অভ্যন্তরে পুতিনের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টটি এতদিন ছিল রহস্যে মোড়া। সম্প্রতি স্থানীয় এক সাংবাদিক পুতিনের বাসভবনে একটি ভিডিও ট্যুর করার প্রস্তাব দিলে, সবার প্রত্যাশা ভেঙে নিজেই তা অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট। নির্ধারিত দিনে সংবাদমাধ্যমের একটি টিম পৌঁছায় পুতিনের বাড়িতে এবং তাঁর নেতৃত্বেই ঘুরে দেখানো হয় এই প্রাসাদসম অ্যাপার্টমেন্ট।
সিংহদ্বারের মতো বিশাল দরজা পেরিয়ে শুরু হয় রাজকীয় অভ্যর্থনা। অভ্যন্তরে চোখে পড়ে ঝকঝকে ঝাড়বাতি, নরম আলো, বিলাসবহুল পর্দা ও কার্পেটের সমাহার। একটি কক্ষে দেখা যায় রুশ সম্রাট তৃতীয় আলেকজান্ডারের ১৩ শতকের একটি তৈলচিত্র। বাড়িটির বিভিন্ন অংশে রয়েছে মূল্যবান অ্যান্টিক ও ফার্নিচার, যেগুলো শুধু সৌখিনতা নয়, পুতিনের ঐতিহাসিক অনুরাগও প্রকাশ করে।
এই অ্যাপার্টমেন্টেই ২০২৩ সালে অতিথি হয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তখন ফায়ারপ্লেসের পাশে বসে দুজনের মধ্যকার চা-আড্ডা ছিল আলোচনার বিষয়।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগেও আলোচনা ও গুঞ্জন ছিল। ২০২১ সালে ক্রিমিয়ার কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী এক বিলাসবহুল প্রাসাদ নিয়ে প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন পুতিনের গোপন সম্পদের দাবি তোলে, যদিও ক্রেমলিন তা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।
তবে এবার নিজ বাসভবনের এই সরাসরি উন্মোচন রাশিয়ার রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ বলছেন, এটি তার শক্তিমত্তার ‘মানবিক মুখ’ দেখানোর একটি কৌশল, আবার কেউ মনে করছেন, যুদ্ধের সময় এমন প্রদর্শন প্রাসঙ্গিক নয়।
সাম্প্রতিক ভিডিওটি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোথাও তা বিস্ময়, কোথাও সমালোচনা।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=YmdsXFnmwEo
রাকিব