
ছবি : সংগৃহীত
গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) মোট ৫৪ জনকে আটক করেছে। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন হাসনাত।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম জানান, আটক হওয়াদের মধ্যে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নিজামউদ্দিন এবং কাশিমপুর থানার শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ দিপু রয়েছেন। তবে আটককৃতদের সবাই সরাসরি হামলার সঙ্গে জড়িত কি না, তা এখনও যাচাই-বাছাই চলছে।
জিএমপি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযানের মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে একাধিক টিম। পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকার পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকেও তদারকি করা হচ্ছে তদন্ত কার্যক্রম।
এনসিপির নেতা আবদুল হান্নান মাসুদ এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম হামলার ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এদিকে, গাজীপুরে এনসিপির নেতৃবৃন্দ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেন, হামলার সময় ও পরবর্তী সময়ে পুলিশের সাড়া মনঃপূত ছিল না।
এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, তারা হামলার বিষয়ে লিখিতভাবে পুলিশকে অবহিত করেছেন এবং সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাসন থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলবে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হামলায় কারা জড়িত, তা বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বের সরকার সংশ্লিষ্ট কেউ এই হামলার পেছনে থাকতে পারে। তদন্তে তা প্রমাণিত হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
সূত্র:https://youtu.be/HfD9u9Npvqk?si=IXYkdrtXoUXDk1aQ
আঁখি