ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি ও বিএসএফের ২টি ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’ করবে ভারত

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ৫ মে ২০২৫; আপডেট: ১৪:০৪, ৫ মে ২০২৫

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি ও বিএসএফের ২টি ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’ করবে ভারত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়াতে দুটি নতুন ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার (ঘাঁটি) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে একটি গড়ে তোলা হবে জম্মুতে, যা পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত নজরদারি জোরদার করবে, এবং অন্যটি স্থাপন করা হবে মিজোরামে, বাংলাদেশের সীমান্তে নজর রাখার জন্য।

 

 

একইসঙ্গে বিএসএফের জন্য ১৬টি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেখানে নিয়োগ দেওয়া হবে প্রায় ১৭ হাজার জওয়ান। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এই প্রস্তাব। অনুমোদন পেলে এটি বিএসএফের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বর্তমানে বিএসএফের ১৯৩টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে, যারা প্রায় ৬ হাজার ৭২৬ কিলোমিটার সীমান্ত রক্ষা করছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৯০ কিলোমিটার ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত, ৩৩৯ কিলোমিটার লাইন অব কন্ট্রোল এবং ৪ হাজার ৯৭ কিলোমিটার বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে।

 

 

সূত্র জানায়, পূর্বে বিএসএফ ২০-২১টি ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সরকার শেষ পর্যন্ত ১৬টি ব্যাটালিয়নের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। এই নতুন ইউনিট গঠনের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ সদস্যদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যার কাজ আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হবে।

বর্তমান বিএসএফের সেক্টরগুলো ডিআইজি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। জম্মু সীমান্তে রাজৌরি, সুন্দরবানি, জম্মু এবং ইন্দ্রেশ্বর নগরে সেক্টরগুলো অবস্থিত। অন্যদিকে, মিজোরাম ও কাছাড় সীমান্তে আইজল, সিলচার এবং মণিপুরে বিএসএফের কার্যক্রম চলছে।

 

 

বাংলাদেশ সীমান্তে ৪ হাজার ৯৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখনো কাঁটাতার বসানো হয়নি। কারণ এসব সীমান্ত নদী ও বনভূমি দিয়ে ঘেরা, যেগুলো নজরদারির জন্য বিশেষ প্রস্তুতি প্রয়োজন।

 

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছর বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর পূর্ব সীমান্তে এবং এপ্রিলে কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন ঘাঁটি ও ব্যাটালিয়ন বিএসএফকে সীমান্ত রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আঁখি

×