ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানের আকাশে ’অ্যাওয়াক্স’, লড়বে ভারতের সাথে!

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ৫ মে ২০২৫

পাকিস্তানের আকাশে ’অ্যাওয়াক্স’, লড়বে ভারতের সাথে!

ছবি : সংগৃহীত

পেহেলগামে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের পূর্বাভাস মিলতেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে প্রতি ঘণ্টায়। এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম বা 'অ্যাওয়াক্স' নিয়ে সতর্ক করেছেন ভারতের বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা। সরাসরি পরামর্শ দিয়েছেন, যুদ্ধে নামার আগে প্রথমেই ধ্বংস করতে হবে পাকিস্তানের এই গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা বিমান বহর।

 

 

পেহেলগামের ঘটনায় প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে দিয়েছেন ‘সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা’। এর জবাবে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত সামরিক পদক্ষেপ নিলে তার ‘কঠোর জবাব’ দেওয়া হবে।

এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই সামনে এসেছে পাকিস্তানের ‘অ্যাওয়াক্স’ বহরের প্রসঙ্গ। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর হাতে থাকা ১১টি অ্যাওয়াক্স বিমানকে মাঝ আকাশে মোতায়েন করে গোটা সীমান্তজুড়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এগুলো মূলত সুইডিশ ‘এরি রাডার’-যুক্ত গোয়েন্দা বিমান, যেগুলোকে ইসলামাবাদের ‘চোখ ও কান’ হিসেবে বিবেচনা করেন বিশ্লেষকরা।

 

 

ভারতীয় বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পাকিস্তানের এই অ্যাওয়াক্স বহরই সম্ভাব্য যুদ্ধে বড় ফারাক গড়ে দিতে পারে। কারণ, ভারতীয় জেট সীমান্ত অতিক্রম করলেই এই বিমানগুলোর মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করতে পারবে পাকিস্তান। এমনকি ভারতীয় জেট থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথও বুঝে নিতে সক্ষম এই উড়ন্ত রাডার, যা মাঝ আকাশেই প্রতিহত করার সুযোগ করে দেবে পাকিস্তানকে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রযুক্তিগত সুবিধা পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখলেও, ভারতও পিছিয়ে নেই। ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান অস্ত্র হলো রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক *S-400 ট্রায়াম্ফ*। এই ব্যবস্থা ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতেও নির্ভুল আঘাত হানতে পারে। শত্রুর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হোক বা যুদ্ধবিমান, সবই ধ্বংস করতে সক্ষম এই প্রতিরক্ষা ঢাল।

 

 

এছাড়া ভারতের কাছে রয়েছে ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমান, যা পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। আকাশে ১৫০ কিলোমিটার এবং ভূমিতে ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে এই যুদ্ধবিমান। ফলে ভারতীয় পক্ষ প্রতিক্রিয়ায় যেমন শক্তিশালী, তেমনি প্রস্তুতও।

এই পরিস্থিতিতে সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধ শুরুর আগেই পাকিস্তানের অ্যাওয়াক্স বিমান ধ্বংস করতে পারলে ভারতের জন্য এটি হবে একটি কৌশলগত সাফল্য। তবে, এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে কূটনৈতিক ও সামরিক দুটি দিকই সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।
 

আঁখি

আরো পড়ুন  

×