ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

মানবিক করিডর ইস্যুতে বিভ্রান্তি: গুজব নাকি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, যা জানা গেল

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ৫ মে ২০২৫; আপডেট: ০৭:৩৩, ৫ মে ২০২৫

মানবিক করিডর ইস্যুতে বিভ্রান্তি: গুজব নাকি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে একটি মানবিক করিডর খোলার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সম্মত হয়েছে, এমন খবর ঘিরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। তবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ কোনো ধরনের মানবিক করিডর খোলার বিষয়ে চুক্তি করেনি এবং যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে রাখাইনে প্রক্সি যুদ্ধে জড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। তিনি এই গুজব ছড়ানোর জন্য প্রতিবেশী দেশকে দায়ী করেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে চলবে। কারো চাপেই কোনো প্রক্সি যুদ্ধে জড়াবো না। এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে এই ইস্যুতে সমন্বয়ের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সময় বলেছিল নীতিগতভাবে সম্মত, আবার অন্য সময় প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর ফলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডর ও মানবিক চ্যানেলের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করে না বলায় বিষয়টি আরও অস্পষ্ট হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি স্বচ্ছ ও ঐক্যবদ্ধ বক্তব্য খুব জরুরি, যাতে ভুল ব্যাখ্যা ও গুজব ছড়ানো না হয়।

অনেকে মনে করছেন, এই করিডর খোলার প্রস্তাবের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সরকারি কোনো প্রমাণ বা ঘোষণা পাওয়া যায়নি, তবে সামাজিক মাধ্যম ও কিছু অনানুষ্ঠানিক সূত্রে এই ধরনের ধারণা ছড়াচ্ছে।

ড. আমেনা মহসিন বলেন, ‘এই অঞ্চলটা ভূরাজনৈতিকভাবে খুবই স্পর্শকাতর। রাখাইনে গৃহযুদ্ধ চলছে, চীনের স্বার্থ জড়িত, আবার বলা হচ্ছে, জাতিসংঘও প্রস্তাব দিয়েছে। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জনগণের সঙ্গেও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=BGoCYxyL35Q

রাকিব

আরো পড়ুন  

×