ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

গাজায় খাবারের হাহাকারে বাঁচার সম্ভাবনা আর কয়েক দিন, খাদ্য সংকটে ৫৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ৫ মে ২০২৫; আপডেট: ০৮:৩৪, ৫ মে ২০২৫

গাজায় খাবারের হাহাকারে বাঁচার সম্ভাবনা আর কয়েক দিন, খাদ্য সংকটে ৫৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

ছবিঃ সংগৃহীত

গাজার ফুড কিচেনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অভুক্ত ফিলিস্তিনিরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও পাচ্ছে না খাবার। জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংগঠনগুলোর দাবি, গাজাবাসী হাতে গোনা আর কিছুদিনই খাবার পাবে। একদিকে দীর্ঘ অপেক্ষা, অন্যদিকে গাজার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি এখন প্রায় নেই। পুনরায় হামলা শুরু হওয়ার পর গত ৬৩ দিন ধরে গাজা পুরোপুরি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, যার ফলে সীমান্তে ত্রাণবাহী গাড়ি আটকে রয়েছে। অনেক সময়, এসব খাবার বহনকারী গাড়িগুলো পৌঁছানোর আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া, ইসরাইলি অবরোধের কারণে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিকে যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দিয়েছে। গেল তিন মাসে খাবারের অভাবে অন্তত ৫৭ ফিলিস্তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। মার্চ থেকে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে ওঠে, বিশেষ করে অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। এপ্রিলে, মার্চের তুলনায় অপুষ্টিজনিত রোগের হার ৮০ শতাংশ বেড়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে জানিয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার শিশু এখন তীব্র অপুষ্টির কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

গাজার বাজারে মাংসের মতো প্রোটিনের কোনো উৎস নেই, এবং দীর্ঘদিন ধরে খাবার না খাওয়ার কারণে সুস্থ বাচ্চারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। একজন মা জানাচ্ছেন, “আমার পাঁচ বছরের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। না খেতে খেতে তার ওজন এখন মাত্র ৯ কেজি, প্রতিদিনই তার ওজন কমছে।”

গাজার একমাত্র ওয়াটার ডিসালিনেশন প্লান্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে পানির সংকট আরও তীব্র হয়েছে। প্রায় ৬৫ শতাংশ গাজার বাসিন্দাকে এখন নোংরা ও অপরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। ত্রাণ সহায়তা বন্ধ থাকার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবও দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, অনেক রোগীকে স্থানাভাবের কারণে হাসপাতালে দীর্ঘদিন রাখতে পারছেন না তারা।

এ পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয়ের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে, যেখানে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা না পেয়ে ২০ লাখের বেশি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে।

তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/R4zkXx50rWk?si=_cJDV2uuSgdsgKBe

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×