
বাগেরহাটে গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদনকারী প্রায় অর্ধশত হ্যাচারি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিংড়ি চাষে বিপর্যয় নেমে এসেছে। কাঙ্ক্ষিত মানের রেনু পোনা না পেয়ে জেলার হাজার হাজার চাষি এখন চাষাবাদ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
রবিবার (৪ মে) দুপুরে জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এক অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য উঠে আসে।
সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় মৎস্য পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রূপালী চিংড়ি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
সভায় জেলার ৬০ জন চাষি, হ্যাচারি মালিক ও উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। তারা দাবি জানান, সরকারিভাবে রেনু পোনা উৎপাদন করে নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে তা চাষিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
চাষিদের অভিযোগ, বর্তমানে বাজারে যেসব পোনা পাওয়া যায়, সেগুলোর গুণগতমান নিম্নমানের। ঘেরে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও ভালো ফল পাচ্ছেন না তারা। এতে চিংড়ি উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গলদা চিংড়ি চাষে সফলতা পেতে হলে উচ্চ মানের পোনার পাশাপাশি উন্নতমানের খাবার নিশ্চিত করতে হবে। একজন কর্মকর্তা বলেন, “এই প্রোটিনের মাত্রা ৩০ শতাংশের ওপরে হওয়া দরকার। খাবারের মান খারাপ হলে চিংড়ির বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক রাজকুমার বিশ্বাসসহ অন্য কর্মকর্তারা।
নুসরাত