
ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির অনৈক্য গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে যশোর শহরের জিরোপয়েন্ট মোড়ে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যশোর জেলা যুবদলের আয়োজনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, " প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় দেশে অপরাধ, সন্ত্রাস, রাজনৈতিক হয়রানি ও দমন-পীড়ন বেড়েই চলেছে। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ফ্যাসিস্টদের অনুসারীরা গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির অনৈক্যের কারণে ফ্যাসিস্টরা এই সুযোগ লুফে দিয়েছে।"
ফ্যাসিস্টদের প্রত্যাবর্তনে যারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, "ফ্যাসিস্ট দোসরদের জন্য প্রত্যাবর্তনে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে একটি পক্ষ। তারা বর্ণচোরা। তারা গণতন্ত্র বিনষ্ট, গণতন্ত্র প্রত্যাবর্তনে করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বর্ণচোরারা সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাই। বর্ণচোরা শত্রুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যেমন করে গত ১৬ বছর সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিদ্র করে গণতান্ত্রিক সকাল এনেছে। গণতন্ত্র স্থায়িত্ব থাকার জন্য আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত। বিএনপি লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী রাজপথে ছিলো, এই লড়াইয়ে রাজপথে থাকবে।"
সমাবেশে তিনি অরাজকতা রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটি জেলা শাখার সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল কবির সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন বাবু, আমিনুর রহমান মধু, নাজমুল হোসেন বাবুল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, রাজিদুর রহমান সাগর ও মোহাম্মদ ইমদাদুল হক প্রমুখ।
এরপর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সমাবেশস্থল থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তায় যেয়ে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এসময় তিনি বলেন, "বিগত ১৬ বছর দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম। এই আন্দোলনের একটি লক্ষ্য ছিলো, দেশে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এই গণতন্ত্রের জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মীর জীবন বলিদান করেছে। কিন্তু সেই গণতন্ত্র ফেরত আসেনি। আজও জনগণ ভোটের অধিকার ফেরত পায়নি। এসব যখনই আসবে; তখন গণতান্ত্রিক পন্থায় একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হবে। এখনও যুদ্ধ চলমান, যুদ্ধ চলবে। আমরা মাত্র একটি পথ অতিক্রম করেছি, সেটা স্বৈরাচারকে হঠাতে। আজ এই সমাবেশ থেকে শপথ নিতে হবে যতদিন দেশে গণতন্ত্র অধিকার ফেরত না পাবো, ততদিন আমরা রাজপথে থাকবো।"
এর আগে শহরের বিভিন্ন এলাকা ও আট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাস ট্রাকে করে নেতাকর্মীরা শহরে প্রবেশ করেন। এরপর খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে সমবেত হয়।
Mily