
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি চলাকালে গোপালগঞ্জে দলের নেতাকর্মীদের ওপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষক। এক বিবৃতিতে তারা এই হামলাকে “জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার হীনচেষ্টা” হিসেবে অভিহিত করেন।
গত ১৬ জুলাই (বুধবার) গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতো সহিংস ঘটনাকে “গণতান্ত্রিক চর্চার ওপর সরাসরি আঘাত” বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। শিক্ষকগণ দাবি করেন, এ হামলা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের ওপর নয়—বরং দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার হরণের অপচেষ্টা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, পরিকল্পিতভাবে সময় নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারা দেশ থেকে লোকজন এনে গোপালগঞ্জে জড়ো করেছে। অথচ রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই আগাম প্রস্তুতির বিষয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। হামলা চলাকালে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা আমাদের আশঙ্কাকে আরও প্রবল করে তুলেছে যে, রাষ্ট্রীয় কাঠামো এখনো দখল করে রেখেছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী।”
তারা দাবি করেন, হামলার পেছনে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং পেশাদার ও নিরপেক্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গঠন করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাঠামোর ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বল ভূমিকারও সমালোচনা করেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের তালিকা (জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়):
১) অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২) অধ্যাপক ড. মুহিব্বুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৩) অধ্যাপক ড. খোঃ লুৎফুল এলাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৪) অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৫) অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬) অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৭) অধ্যাপক ড. মো. শামসুজোহা, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৮) অধ্যাপক ড. আবু খায়ের মোকতাদিউল বারী চৌধুরী, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯) অধ্যাপক ড. মো. সোহাইবুর রহমান, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১০) মো. কবীর উদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১১) ড. এএফজি মাসুদ রেজা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১২) শেখ মো. রোকনুল ইসলাম, ডুয়েট ১৩) অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৪) সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৫) মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৬) মোহাম্মদ ফায়সাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৭) অধ্যাপক ড. মো. মমতাজুর রহমান, আইইউবিএটি ১৮) ড. মো. মনজুর হোসেন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ১৯) শাহ মো. তানভীর সিদ্দিকী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০) ড. মো. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২১) ড. মো. শামিম মন্ডল, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ২২) মো. আলমগীর কবীর রাজ্জাকী, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ ২৩) কাউছার আহমেদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ২৪) রাশেদ মাহমুদ, পিএইচডি গবেষক, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি ২৫) মো. লিমন হোসেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ২৬) মাহবুব আলম, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ২৭) মো. সোহেল রানা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২৮) ড. শামীম হামিদী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২৯) হাসান মাহমুদ সাকী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০) আব্দুল বশির, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ৩১) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ৩২) মহিবুল ইসলাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৩) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহহিল বাকী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪) অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার, নিপসম ৩৫) মো. জামিউল ইসলাম, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ৩৬) মো. জিল্লাল হোসাইন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭) ড. ইকবাল সরোয়ার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৩৮) ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ৩৯) মো. ইউসুফ আলী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৪০) দিদার মুহাম্মদ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ৪১) মোহাম্মদ সোহাইব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৪২) অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমান, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৩) মিসবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৪৪) আসাদুজ্জামান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৪৫) ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ৪৬) মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আসিফ