
প্রতিদিনই সুন্দর বন থেকে বিষ প্রয়োগে ধরা মাছের শুঁটকি উদ্ধার করছে বনকর্মীরা। কয়েকদিন আগে বনকর্মীদের দেখে ২৫ বস্তা শুঁটকি দুটি নৌকা ও কয়েক বোতল বিষ ফেলে পালিয়ে যায় চোরাকারবারিরা। এখন চলছে মূলত সুন্দরবনে প্রবেশের নিষিদ্ধ সময়। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বনে মাছ, কাঁকড়া ধরাসহ প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। এ সুযোগে গোপনে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানের খালে বাঁধ দিয়ে বিষ প্রয়োগ করে ধরছে মাছ। তা আবার মাচা তৈরি করে বনের কাঠ কেটে আগুন ধরিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিষাক্ত শুঁটকি। বনকর্মীরা ২৫ বস্তায় ৮শ কেজি বিষাক্ত শুঁটকি উদ্ধার করে তা মাটি গর্ত করে পুঁতে ফেলেছেন। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪০০ কেজি মাছের শুঁটকি, ২ হাজার ৯৯০টি হরিণ শিকারের ফাঁদ, ৩২টি নৌকা, ৫টি ট্রলার, ৪০ বোতল বিষ এবং ৪৭ জনকে আটক করেছে বনকর্মীরা। বিশাল বনে সামান্য বনকর্মী দিয়ে বন রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সুযোগেই চোরা শিকারিরা বনে ঢুকে অরাজকতা করছে। খালে বিষ প্রয়োগের ফলে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করছে তারা। পশু-পাখিরা বিষাক্ত মাছ খেয়ে দেদার মারা পড়ছে। তাছাড়া আগুন ধরিয়ে শুঁটকি তৈরি করায় বনে আগুন লাগার ঘটনাও মাঝে মাঝে মারাত্মক আকার ধারণ করছে। যা অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তবে বিষে ধরা মাছের শুঁটকি সামান্য বনকর্মীদের হাতে ধরা পড়লেও বাকি শুঁটকি চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিষাক্ত শুঁটকি খেয়ে কিডনি এবং ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তাই চোরাকারবারিদের প্রতিহত করা এখন অত্যন্ত আবশ্যক হয়ে দেখা দিয়েছে।
প্যানেল/মো.