
রান্নার জন্য গ্যাসের ব্যবহার এখন আর এক জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই। সারা দেশে রান্নাবান্নার জন্য এলপি গ্যাস ও সিলিন্ডারের ব্যবহার অতিমাত্রায় বেড়েছে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সূত্রমতে, দেশে বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখেরও বেশি গ্রাহক এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। গ্রাম ও শহরগুলোতে এর ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। ফলে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্ক না হয়ে উপায় নেই। সিলিন্ডার ব্যবহারে অসাবধানতার কারণে প্রাণহানির সংখ্যাও কম নয়। প্রায় প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। হোস পাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস ভাল্ব ইত্যাদিতে দুর্বলতার কারণে যে কোনো সময় গ্যাস লিক হতে পারে। গ্যাসের লিকেজ থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই বাসায় সিলিন্ডার থাকলে অনেক সাবধান ও সতর্কতার সঙ্গে রান্না করতে হবে। সিলিন্ডার রক্ষণাবেক্ষণেও সতর্ক থাকতে হবে। কেনার সময় দেখে নিন সিলিন্ডারের মুখ সিল করা আছে কি না। সিল করা থাকলে বুঝে নিতে হবে এই সিলিন্ডারে পরিপূর্ণ গ্যাস আছে।
এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার উপুড় করে না রেখে খাড়াভাবে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আশপাশে কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা না লাগে। সিলিন্ডার ও চুলা পাশাপাশি না রেখে সিলিন্ডার থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি ওপরে চুলা রাখতে হবে। সিলিন্ডার এমন জায়গায় রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল করে। তবে সরাসরি সূর্যের তাপের নিচে অথবা ভেজা জায়গায় সিলিন্ডার রাখা যাবে না। রান্নাঘরে সিলিন্ডার রাখলে সব সময় জানালা খোলা রাখুন। নয়তো ঘর বদ্ধ থাকতে থাকতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। গ্যাস সিলিন্ডার অবশ্যই শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। রান্নার সময় কখনো সিলিন্ডার থেকে কম গ্যাস বের হলে সিলিন্ডারের গায়ে চাপ দেওয়া, ঝাঁকানো ইত্যাদি করা যাবে না। চুলায় রান্না বসিয়ে দূরে কোথাও যাবে না। এতে পুরো ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। রান্নার সময় কিংবা রান্নার পরে সাবান-পানি দিয়ে সিলিন্ডারের পাইপ পরিষ্কার করা যাবে না। সতর্কতার সঙ্গে ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে পাইপ মুছে নেওয়া যেতে পারে। সর্বোপরি, সবাইকে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
প্যানেল/মো.