
বর্তমান সমাজে কিশোর তথা ওঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত থাকে, যেমন চুরি, মারামারি,ইভটিজিং,নেশাগ্রস্হ,মাদক বিক্রি, ছিনতাই ইত্যাদি কাজে জড়িত হচ্ছে।এমন সামাজিক অবক্ষয় থেকে স্কাউটিং একটি আন্তর্জাতিক, শিক্ষামূলক ও অরাজনৈতিক আন্দোলন-যার মাধ্যমে শিশু, কিশোর ও যুবকদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, বুদ্ধিভিত্তিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে জ্ঞান দান করে সুনাগরিক হওয়ার যোগ্য করে গড়ে তোলে।
আদর্শ সমাজ গঠনে স্কাউটিংয়ের কার্যাবলী সমুহঃ-
১.স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের নিয়মানুবর্তী হতে সাহায্য করে।
২.স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের চরিত্র গঠনে সহায়তা করে।
৩.স্কাউটিং ছেলেমেয়েদের সদা সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়।
৪.স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের চৌকস হতে সাহায্য করে।
৫.স্কাউটিং বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উদারতার শিক্ষা দেয়।
৬.স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের জীবনমুখী শিক্ষা দেয়
৭.স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল করে।
৮.স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের কর্মঠ করে গড়ে তোলে এবং শ্রমের মর্যাদা শেখায়। ৯.স্কাউটিং ছেলে মেয়েদের শরীর মন সুস্থ্য সবল রাখতে সহযোগীতা করে।
১০.স্কাউটিং ছেলেমেয়েদের অবসর সময়কে গঠনমূলক কাজে লাগিয়ে মুল্যবোধ অবক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
১১.স্কাউটিংয়ে উপদল পদ্ধতিতে পরস্পর সহযোগীতার মাধ্যমে কাজ করার মনোবল গড়ে ওঠে।
১২.স্কাউটিং নিয়মানুবর্তিতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে শেখায়।
১৩.স্কাউটিং নিজের কর্মক্ষমতার উপর আত্মবিশ্বাসী হতে শেখায়।১৪.স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রীক মনোভাব গড়ে উঠে।
১৫.সাংগঠনিক ভাবে এবং ব্যক্তিজীবনে নেতৃত্ব প্রদান সহজ হয়।
১৬.মানুষের মানবিক ও গুণাবলি বিকাশ সাধিত হয়।
১৭.স্কাউটিং নেতৃত্ব ও দায়িত্ববোধের বিকাশের মাধ্যমে জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
সবশেষে বলা যায় আর্দশ সমাজ গঠনে স্কাউটিংয়ের ভুমিকা অপরিসীম।
আঁখি