
ছবি: সংগৃহীত
রাত পোহালেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। সারাদেশের লাখো শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এই ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় দিন গুনছেন উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও প্রত্যাশার মাঝে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। দেশের মোট ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন।
এই ফলাফলের ভিত্তিতে অনেক শিক্ষার্থীর জীবনের পরবর্তী ধাপ নির্ধারিত হবে ঠিকই, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন—রেজাল্ট কোনো ব্যক্তির মেধা, যোগ্যতা বা ভবিষ্যতের একমাত্র পরিমাপক নয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, প্রত্যাশামতো ফল না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী চরম মানসিক চাপে পড়ে। কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক। তাই পরিবার, শিক্ষক ও সমাজের প্রতি আহ্বান—রেজাল্ট যাই হোক, শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বুঝে সহানুভূতির সাথে পাশে দাঁড়ান।
একটি পরীক্ষার ফল খারাপ মানেই জীবন শেষ নয়। বরং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই প্রকৃত শক্তি।
সতর্ক হোন, সচেতন থাকুন। জীবন সবার আগে।
ফলাফলের দিন হোক আনন্দ, গ্রহণযোগ্যতা ও সাহসিকতার এক নতুন সূচনা।
লেখক:
মোঃ শাহীন আলম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম
Mily