
বর্তমান সময়ের শহরভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাটারিচালিত রিক্সা একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি শ্রমিকের শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে এবং কিছুটা হলেও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে। সহজ ব্যবস্থাপনার কারণে তুলনামূলকভাবে বয়সী বা শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরাও সহজেই এ ধরনের রিক্সা চালাতে সক্ষম হচ্ছেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বর্তমানে প্রায় ৪৫ হাজার ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল করছে। তবে যথাযথ নিয়মকানুন ও লাইসেন্সবিহীন চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, যা জননিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব রিক্সার জন্য আলাদা লেন তৈরি করা গেলে এবং সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনায় চালনা নিশ্চিত করা গেলে এটি হতে পারে একটি কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন মাধ্যম। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এটি কর্মসংস্থান ও আয়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে।
হ্নরিক্সার সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেলে যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই ব্যাটারিচালিত রিক্সার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। প্রতিটি এলাকা বা ওয়ার্ডের প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক রিক্সাকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে পরিচালিত করা যেতে পারে। লাইসেন্স নবায়ন, ফিটনেস পরীক্ষা এবং নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে রিক্সাগুলোর মান নিশ্চিত করা সম্ভব। পাশাপাশি নতুন রিক্সার নিবন্ধন ও পরিচালনার দায়িত্বে স্থানীয় প্রশাসন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। হ্নঅতএব, সঠিক পরিকল্পনা ও কঠোর নিয়মকানুনের মাধ্যমে ব্যাটারিচালিত রিক্সাকে একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থায় রূপান্তর করা সম্ভব।
হ্নহ্ন লালমাই সরকারি কলেজ, কুমিল্লা থেকে
প্যানেল