বিশ্ব রাজনীতি
বিশ্বরাজনীতি একটি আলোচিত ও গঠনমূলক বিষয়বস্তু। সময়ের সাথে বৈশ্বিক রাজনীতির ধরণ ও কলাকৌশলে বেশ পরিবর্তন আসে। যার ছাপ বর্তমানে বৈশ্বিক ভ‚রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে।
চলমান বিশ্বরাজনীতির ইতিবৃত্ত শুধুমাত্র সমরাস্ত্র, ক‚টনীতিক সমন্বিত চুক্তি, পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ এসব কর্মকান্ডে সীমাবদ্ধ নয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন বেশ প্রভাব ফেলে আঞ্চলিক রাজনীতির পাশাপাশি বিশ্বরাজনীতির কাঠামো ব্যবস্থাপনায়ও। বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক কাঠামো ব্যবস্থাপনায় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ।
নির্বাচন শুধুমাত্র দেশের মধ্যে নতুন প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করে না। দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি বৈশ্বিক ভ‚রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই প্রতিনিধিত্বের উপস্থিতির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বৈশ্বিক মোড়লদের সাথে উদীয়মান উঠিত শক্তিধর দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য চুক্তিসহ ক‚টনৈতিক কলাকৌশল বির্নিমাণ এই নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
নির্বাচনে জয়ী প্রতিনিধির স্বভাবসুলভ আচরণ, বৈশ্বিক ভাবনা চিন্তা, দেশীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতগুলোকে ইতিবাচক গতিশীলতার মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টিতে নির্বাচন আকষর্ণের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে দেশে ও বর্হিবিশ্বে।
ঠিক তেমনি একটি নির্বাচন ব্যবস্থা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।যা বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে। আলোচনা,সমালোচনা, জল্পনা, কল্পনার সাথে ক‚টনৈতিক মারপ্যাঁচের হিসেব নিকাশে জড়িত থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা বৈশ্বিক মোড়লদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্বের অন্যতম সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার দেশ হিসেবে স্বীকৃত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচন পদ্ধতি অন্যান্য দেশগুলোর থেকে ভিন্ন। আর বেশ জটিল।ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির এই নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় একজন প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারে না। অর্থাৎ একজন প্রেসিডেন্ট দুইবার শুধু প্রেসিডেন্ট হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের মোট আসন সংখ্যা ৫৩৮টি। এই নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। প্রতিটি রাজ্যের জন্য ইলেকটোরাল আসন সংখ্যা রাজ্যটির জন্য বরাদ্দকৃত সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের মোট আসন সংখ্যার সমান।
অর্থাৎ, কোনো একটি অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদে যতগুলো আসন আছে, তার সাথে অঙ্গরাজ্যটির জন্য বরাদ্দ থাকা দুটি সিনেট আসন যোগ করে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা পাওয়া যায়। তবে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াকে আলাদাভাবে সম্মানসূচকভাবে তিনটি ইলেকটোরাল ভোট বরাদ্দ করা হয়েছে। চার বছর মেয়াদী এই নির্বাচন নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।১৮৪৮ সাল থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত হয় এই নির্বাচন।সেই হিসেবে আগামী নির্বাচন নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার বা ৫ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের মার্কিন নির্বাচনে মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর নির্বাচন করার কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য গত জুলাই মাসে নিজের নাম প্রত্যাহার করে তার রার্নিংমেট তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমথর্ন প্রদান করেন।আর তৃতীয় বারের মতো রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জয়ী হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া বা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে প্রথমবারের মতো পুন:প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাসহ বেশ প্রতিদ্ব›িদ্বতার আভাস মিলছে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন, লেবানন ইসরায়েল যুদ্ধ,মধ্যপ্রাচ্যে সংকট, তাইওয়ান সংকট এবং কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনাসহ বেশ কিছু ইস্যুতে এবারের মর্কিন নির্বাচন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।নির্বাচনী প্রচারে কমলা ও ট্রাম্প অভ্যন্তরীণ নীতির পাশাপাশি পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন।
বিশেষ করে দুজনের পররাষ্ট্রনীতির ওপর বহির্বিশ্বের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। বৈশ্বিক ভ‚রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সকল দেশের সাথে কোন না কোন প্রভাব বিস্তারকারী ভ‚মিকা রাখেন।প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা, নীতি, মনোভাব এবং সিদ্ধান্তগুলো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই কোনো না কোনোভাবে প্রভাব ফেলে। তাই বিশ্ব ব্যবস্থাপনায় এই নির্বাচনের কদর অনেক বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কেবলমাত্র আমেরিকানদের নয়, বিশ্বজুড়ে সকল মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা একটি চরিত্র। অভ্যন্তরীণ নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে বৈশ্বিক রাজনীতির যেকোনো মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্তও নিয়ে থাকেন তিনি। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্ণীত করা হয় না।তাকে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে তার অতি গুরুত্বতার জন্য তাকে আন্তর্জাতিক চরিত্র হিসেবে অভিহিত করা হয়।
নির্বাচনে জয়ী হলে কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন, লেবানন ইসরায়েল যুদ্ধ,মধ্যপ্রাচ্যে সংকটসহ যাবতীয় ইস্যুতে কেমন ভ‚মিকা পালন করে এবং মনোভাব পোষণ করে ঐ মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। ইতোমধ্যে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচনে জয়ী হলো রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা করা কমিয়ে দিবে। ট্রাম্প আরো বলেছেন, তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাত মেটাতে ‘কিছু একটা বের করবেন’। যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের কিছু ভ‚খন্ড ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারেও বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আবার কমলা হ্যারিস ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি জয়ী হলে তার উত্তরসূরী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতো ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখবেন।অর্থাৎ বাইডেন প্রশাসনের নীতি অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট কমলা হ্যারিস। এই মুহূর্তে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন (৫ হাজার কোটি) ডলারের বেশি।
২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে চীনের সাথে সরাসরি বানিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া,উত্তর কোরিয়ার সাথে বিরোধ পাশাপাশি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হওয়াসহ কঠোর অভিবাসন নীতি বেশ উল্লেখযোগ্য ছিলো তার শাসনামলে। ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাম্পের সময়ে ইরানের সাথেও বিরোধ বাড়ে। যার প্রভাব পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংকটে।ট্রাম্প প্রথম মেয়াদের সময়ে ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া ও জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা। যা তার মেয়াদের আরো একটি অন্যতম বড় একটি ঘটনা।
সামরিক জোট ন্যাটোকে শক্তিশালী করতে মার্কিন প্রশাসনে কাজ করা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম কুশীলব হচ্ছেন কমলা হ্যারিস।ন্যাটোকে স¤প্রসারিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে কমলা হ্যারিস।
কমলা নির্বাচনে জয়ী হলে ন্যাটোকে পূর্বের তুলনায় আরো সম্প্রসারিত করতে সেই ধারা অব্যাহত রাখবেন। বিপরীতে ট্রাম্প বলছেন, ন্যাটোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের অপচয় হচ্ছে। তিনি এই জোট থেকে সরে আসারও হুমকি দিয়েছেন।
ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিস যেই এবারের নির্বাচনে জয়ী হয় তার জন্য আরেকটি বড় চ্যালেন্জ হচ্ছে ফিলিস্তিন ইসরায়েল সংকটের সমাধানে কাজ করা। মধ্যপ্রাচ্যে সংকট দিন দিন ঘনীভ‚ত হচ্ছে বৃহৎ আকারে। গাজায় সর্বাতœক আক্রমনের পাশাপাশি লেবাননে এখন আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। স¤প্রতি ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সংকট এখন উত্তেজনার পারদে।
মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিসকে কাজ করতে হবে।ফলে এবারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বেশ গুরুত্বতার সাথে দেখছে সবাই।তবে গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে বড় কোনো ফারাক নেই।
উভয়ে একই অবস্থান নিয়েছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সমর্থিত নেতা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য তারা সমানভাবে সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন। উভয়ের রাজনৈতিক দল ইসরাইলের প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন দিচ্ছে এবং যারা এ অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।তারা তাদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।এতে ধারণা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সংকটে ট্রাম্প বা কমলার পররাষ্ট্রনীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না।
দক্ষিণ এশিয়ার ভ‚রাজনীতিতেও এই নির্বাচনের প্রভাব অনেক। ভারতের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক‚টনৈতিক সম্পর্কের কেমন উন্নয়ন হয় তার জন্য নির্বাচনে গুরুত্ব রয়েছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সম্পর্কের উন্নয়ন হলেও বর্তমানে ক‚টনীতিক টানাপোড়েনে রয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক।
বাংলাদেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তন এর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ব্যক্ত করার অভিব্যক্তি এই নির্বাচনকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে।দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ক্রমাগত উপস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ চরমে গিয়ে ঠেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন ও জ্বালানি অবকাঠামো এবং প্রযুক্তি খাতে চীনা কোম্পানির মালিকানা নিষিদ্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের ক‚টনীতিকদের মধ্যে যোগাযোগ চালু করেছিলেন, যা চীনকে ক্ষুব্ধ করে। একই ভাবে কমলা হ্যারিসও চীনের আগ্রাসন বিরোধী জোট তৈরি করতে আগ্রহী এই অঞ্চলে।তাই চীনকে সরিয়ে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান আরো সুসংহত করতে বদ্ধপরিকর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।ফলে এই নির্বাচনের ফলাফলে চোখ রাখছে দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীরা।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনের প্রভাব অনেকখানি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্ববাসীর নিকট কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থানকৃত এই নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় কোন দিকে রুপ নেয়। ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধের কোন সমাধানের বের হয় কিনা।চীন,রাশিয়ার সাথে বানিজ্য যুদ্ধ বাড়ে বা কমে কিনা, উত্তর কোরিয়ার সাথে বিরোধপূর্ণ অবস্থান কোথায় গিয়ে ঠেকে সেসব মুখ্য বিবেচ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিস যেই হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হন তার উপরই নির্ভর করছে আগামী চার বছরের বৈশ্বিক ভ‚রাজনীতির ময়দানের মারপ্যাঁচ।আঞ্চলিক রাজনীতির পাশাপাশি বিশ্বরাজনীতির মোড় কোন দিকে ঘুরে যায় সেই সব কৌশলগত পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ক্ষমতা প্রদর্শনীর বেষ্টনীর দেখা মিলবে আগামী চার বছরে। তবে বিশ্ববাসী ইতিবাচক ও সুশৃঙ্খল বৈশ্বিক ভ‚রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার স্বাগত জানাচ্ছে।যার শান্তির মশাল জ্বলবে সমগ্র বিশ্বে।
লেখক : শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শহিদ