ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নরেন্দ্র মোদির শপথে শেখ হাসিনা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুদৃঢ় বার্তা

তাপস হালদার

প্রকাশিত: ২১:০০, ১০ জুন ২০২৪

নরেন্দ্র মোদির শপথে শেখ হাসিনা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুদৃঢ় বার্তা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন

২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আবার নতুনভাবে শুরু হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি পায়।

দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বহু অমীমাংসিত বিষয় একে একে নিষ্পত্তি হতে শুরু করে। ২০১৫ সালের ৭ মে ভারতীয় পার্লামেন্ট সর্বসম্মতভাবে স্থলসীমানা চুক্তি অনুমোদন করে, যা ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষর হয়েছিল। যে কারণে দুই দেশের সীমানা নিয়ে ৬৮ বছরের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, মরিশাস, সেশেলসের সরকার প্রধানগণ এবং আট হাজার দেশী-বিদেশী অতিথি।

মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি এবং শপথের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক প্রমাণ করে, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্ব কতখানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে আবারও প্রমাণ হলো বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির এক রোল মডেল।
ভারতের রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদি একজন ক্যারিশমাটিক লিডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভারতের ইতিহাসে তার মতো নির্বাচনী সাফল্য আর কোনো রাজনৈতিক নেতা পাননি। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সে সময়কার প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন।

কংগ্রেস ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী দল। তখনও কংগ্রেসকে মোকাবিলা করতে সর্বভারতীয় স্তরে তেমন কোনো বিরোধী দল তৈরি হয়নি। নরেন্দ্র মোদি একমাত্র নেতা, যিনি ২০১৪ সালে কংগ্রেসের বিজয়রথ থামিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।

আগের দুবার বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও এবার জোটবদ্ধ ভাবে সরকার গঠন করতে হচ্ছে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে মোদির জনপ্রিয়তা কমে গেলেও এককভাবে এখনও তাকে মোকাবিলা করার মতো কোনো নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি, সেটাই এবারের  নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে।
ভারতের সংবিধান মতে, লোকসভায় ৫৪৩টি নির্বাচিত আসনের মধ্যে সরকার গড়তে হলে কোনো দল কিংবা জোটকে কমপক্ষে ২৭২ আসনে জয়ী হতে হয়। এবারের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ২৪০টি এবং জোটবদ্ধভাবে ২৯২টি আসন পেয়েছে। যা বিগত লোকসভা নির্বাচন থেকে ৬৩টি কম। ২০১৪ সালে বিজেপি এককভাবে ২৮২ আসনে জয়লাভ করে।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩০৩টি আসন এবং এনডিএ জোট মিলে ৩৫২টি আসন পেয়েছিল। অন্যদিকে বিরোধী দল কংগ্রেস ৫২ টি, জোট মিলে ৯১টি আসন পেয়েছিল। দুই জোটের বাইরে আঞ্চলিক দলগুলো পেয়েছিল ৯৮টি আসন। এবারের নির্বাচনে বিজেপি অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদিকে ঠেকাতে ২৪টি দল নিয়ে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) জোট গঠন  করেছিল।

তারপরও সব দল মিলেও বিজেপির সমান আসন পায়নি। বিজেপি এককভাবে যেখানে ২৪০ আসন পেয়েছে, সেখানে বিরোধী জোট মিলে পেয়েছে ২৩২টি আসন। কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে মাত্র ৯৯টি আসন।
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশরতœ শেখ হাসিনা। নির্বাচনের সময় পশ্চিমা শক্তিরা সুষ্ঠু নির্বাচনের অজুহাতে অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে চেষ্টা করেছিল। তখন সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্বাচনের পক্ষে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত।

যে কারণে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে। গত নির্বাচনে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার কারণেই শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নেতিবাচক মনোভাব থেকে সরে এসেছিল। যার কারণে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতের যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন হবে না। কারণ, ভারত কতক মৌলিক নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং সরকার পরিবর্তনে মৌলিক নীতির পরিবর্তন হয় না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মৌলিক নীতিরই অংশ।

বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় দল আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কথাটা আংশিক সত্য। ভারতের সরকার পরিচালনা হয় যুক্তরাষ্ট্রীয় ফেডারেল কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে। সেখানে কোনো দুর্বল সরকার কিংবা নেতা অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হলে দরকার একজন শক্তিশালী নেতা।

আওয়ামী লীগ ও কংগ্রেসের ঐতিহাসিক সম্পর্ক থাকার পরও বিগত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় দুর্বল নেতৃত্বের কারণে দু-দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির গত এক দশকের শাসনামলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন মাত্রা পায়। 
মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পরেই ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় সম্পর্কের নবদিগন্তের। ওই সফরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদি বন্ধুত্ব-শান্তি ও সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা-ের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে শৈথিল্য নেমে আসে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুরু হয় টানাপোড়েন। দীর্ঘ দুই যুগ পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্কের অগ্রগতি শুরু হয়। তখন দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সে সময় ভারতের ক্ষমতায় জোট সরকার থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তাঁর ভূমিকার কারণেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পানিচুক্তি করতে সমর্থ হয়েছিল।
২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আবার নতুনভাবে শুরু হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি পায়। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বহু অমীমাংসিত বিষয় একে একে নিষ্পত্তি হতে শুরু করে।

২০১৫ সালের ৭ মে ভারতীয় পার্লামেন্ট সর্বসম্মতভাবে স্থলসীমানা চুক্তি অনুমোদন করে, যা ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষর হয়েছিল। যে কারণে দুই দেশের সীমানা নিয়ে ৬৮ বছরের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে ৫০ হাজার বিছিন্ন নাগরিক, যাদের কোনো নাগরিক পরিচয় ছিল না, তারা বাংলাদেশ কিংবা ভারতের নাগরিক হন। এই বিনিময়ের ফলে বাংলাদেশ ১৭ হাজার ২৫৮ একর ও ভারত ৭ হাজার ১১০ একর জমির মালিকানা বুঝে পায়।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৫ সালে এই চুক্তি নতুনভাবে স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী, এক দেশ আরেক দেশের জল, স্থল ও রেলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য ট্রানজিটের সুবিধা নিতে পারে। এছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে দুই দেশের মধ্যে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদকপাচার রোধসহ নানা বিষয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন চলছে।
আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের  ক্ষেত্রে  গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সালে ত্রিশ বছর মেয়াদি গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তিস্তাসহ কয়েকটি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে। কেন্দ্রের ইচ্ছা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতার কারণে তিস্তা চুক্তি এখনো করা সম্ভব হয়নি। পানিবণ্টন চুক্তিসহ অনেক মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেগুলোর কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী সরকার, যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে ভারতে সেটা কেবল নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই সম্ভব।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ভারতে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের মনমোহন সিং। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। বিজয়ী হয় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে যেহেতু আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে ভালো, সেহেতু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।

বাস্তব সত্য হলো, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্কের গভীরতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ ছিল নরেন্দ্র মোদির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও স্থিতিশীল সরকার। ভারতে তিন দশক ধরে স্থিতিশীল সরকার ছিল না। তখন কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই শরিকদের মতের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারত না।

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতে নরেন্দ্র মোদির মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং দুই দেশের সরকারের ধারাবাহিকতা ছিল বলেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। অমীমাংসিত অনেক সমস্যার নিষ্পত্তি হয়েছে।
এবারে নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। পেয়েছে জোটবদ্ধভাবে। যদিও এনডিএ জোট নামেই তারা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছে। এনডিএ জোটের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে আপনি ভারতের জণগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। আপনার বিজয় ভারতের জনগণের, প্রতিশ্রুতি এবং দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের প্রতি আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (এক্স হ্যান্ডেল) নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। যা গত এক দশকে অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমি আমাদের জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’ দুই নেতার বার্তায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও গতিশীল হবে।

লেখক : সাবেক ছাত্রনেতা 

[email protected]

×