ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ॥ যোগাযোগ উন্নয়নে মাইলফলক

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ॥ যোগাযোগ উন্নয়নে মাইলফলক

.

মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত দেড় যুগ ধরে চলমান সরকারের অদম্য অগ্রযাত্রা বিশ্বস্বীকৃত। বর্তমান সরকারের সময়কালে সাফল্য পাওয়া খাতগুলোর অন্যতম হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব সাফল্যে দেশের সর্বত্রই ফ্লাইওভার-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে-সেতু-কালভার্টসহ নানামুখী ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন আশাজাগানিয়া উদ্দীপনা তৈরি করেছে। যোগাযোগের অন্যতম সহজ, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব নিরাপদ মাধ্যম রেলপথ সম্প্রসারণ-আধুনিকায়নের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আনার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের নেওয়া উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। অভূতপূর্ব রেলপথ সঞ্চারণে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক আগ্রহ দেশের আপামর জনসাধারণকে উৎসাহ-অনুপ্রেরণার মহাকাশে অত্যুজ্জ্বল করছে। সরকার রেলপথ সম্প্রসারণ, নতুন রেলপথ নির্মাণ সংস্কার, রেলপথকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরকরণ, নতুন বন্ধ রেলস্টেশন চালু, নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু-বৃদ্ধি, লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের সংস্কার-আধুনিকীকরণ, কম্পিউটার বেইজড সিগন্যালিং ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং ট্রেনের নতুন কোচ সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে। নতুন নতুন জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এনে অভ্যন্তরীণ রেলযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ আন্তর্জাতিক রেলযোগাযোগ বিশেষ করে ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্ক, সার্করেল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা অতিশয় দৃশ্যমান।

অতিসম্প্রতি ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথেকক্সবাজার এক্সপ্রেস’-এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের যোগাযোগ উন্নয়নসহ পর্যটনশিল্পে যুগান্তকারী মাইলফলক রচিত হয়েছে। কালের সাক্ষী হয়েছেন ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটির হাজার ২০ জন যাত্রী। পরদিন সকালবেলায় ট্রেনটি কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছলে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় যাত্রীদের। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৪৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই যাত্রাপথে নিরাপদ ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন পর্যটকরা। রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভাষ্য মতে, কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সব টিকেট অনলাইনে অগ্রিম বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ দিনের টিকেট অগ্রিম কাটা হয়েছে। সংকট নিরসনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। প্রতিবছর কক্সবাজারে আসা প্রায় ৬০ লাখ পর্যটক বেশিরভাগ সময় বাসে এবং বিমানে যাতায়াত করলেও এখন বেশিরভাগ পর্যটক ট্রেনে ভ্রমণ পছন্দ করছেন।  

আমাদের সকলের জানা, প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে বিশেষ করে ভারত উপমহাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নদীপথের গুরুত্ব থাকলেও কালক্রমে রেলপথের আবির্ভাবে পুরো উপমহাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিশ্বের অনেক দেশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেলপথের সম্প্রসারণ করে। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে রেলওয়ে একটি শক্তিশালী সম্ভাবনাময় পরিবহন মাধ্যম হিসেবে প্রতিভাত। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার দর্শনা জগতী সেকশনে ৫৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের অঞ্চলে রেলের যাত্রা। পরবর্তীতে পরিবেশ-যানজট-নিরাপত্তা-ভূমির পরিমিত ব্যবহার, জ্বালানি সমস্যা বেশি পরিমাণ পণ্য পরিবহনের বিষয় বিবেচনায় বাংলাদেশে রেলপথকে আধুনিকায়ন যুগোপযোগী করা হয়েছে। ২০১১ সালে রেলপথ বিভাগকে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ে উন্নীত করা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে  প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রাক্কালে স্বাক্ষরিত সাতটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের রেলওয়ের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযোগিতা। বাংলাদেশ জাতীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুসারে, বর্তমানে হাজার ১০১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনের নেটওয়ার্ক দেশের ৪৩টি জেলাসহ প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে সংযুক্ত করেছে।

১১ নভেম্বর ২০২৩ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের ৪৮তম জেলা হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার রেল যোগাযোগে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে, কক্সবাজারে পর্যটকের উপস্থিতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প সময়-খরচে কৃষিপণ্য, মাছ, লবণ পরিবহন সহজতর হবে এবং পর্যটন শিল্পসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এটি মিয়ানমার-চীনসহ এতদ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে বিস্তৃত করবে। তৈরি হবে নতুন নতুন বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানের। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুরু করে নয়নাভিরাম সবুজ বনাঞ্চল অতিক্রম করে পৌঁছেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। এই রেলপথের যাত্রীরা চুনতি-ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় পার্কের প্রায় ২৭ কিলোমিটার সংরক্ষিত বনভূমির অপরূপ বৃক্ষরাজির দৃশ্য অবলোকনসহ বন্যহাতির পালের সৌন্দর্য উপভোগ করে কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রাপথে প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশের অপূর্ব মেলবন্ধন যাত্রীদের মুগ্ধ করবে। বৈচিত্র্যময় এই রেলপথ পর্যটনের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। কক্সবাজারের সঙ্গে রেলসংযোগের ফলে পর্যটনশিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এই রেল সংযোগ নির্মিত হওয়ার সুবাদে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সবসময় পর্যটকরা ইচ্ছা করলে সরাসরি কক্সবাজারে এসে কোনো ধরনের হোটেল ব্যবহার না করেও সমুদ্রসৈকতের আনন্দ উপভোগ করে পুনরায় ফিরে যেতে পারবেন। এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় পর্যটক দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে অপরিমেয় আগ্রহ-উৎসাহ-উদ্দীপনা সঞ্চারিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, রেলপথ চালু হওয়ায় কক্সবাজারের আপামর জনসাধারণসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ গভীর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা এটিকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং শত বছর ধরে স্বপ্নে লালিত রেলপথ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কক্সবাজারবাসীর মতে, বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রসৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিবছর অগণিত দেশী-বিদেশী পর্যটক কক্সবাজারে ছুটে আসেন। পর্যটকদের জন্য সরকারি-বেসরকারি খাতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমাহারে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন-বিলাসবহুল বিপুল সংখ্যক হোটেল-মোটেল। দীর্ঘকাল ধরে কক্সবাজরের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সড়ক আকাশপথে যোগাযোগ থাকলেও ছিল না রেলসংযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা-চেতনার অনুপম ফসল হিসেবে কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। কক্সবাজার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বপ্নের রেল এখন পর্যটন শহর কক্সবাজারে। এই রেলপথ বাংলাদেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী ঘটনা। ব্রিটিশ, পাকিস্তানের সুদীর্ঘ সময় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অর্ধশত বছরে যা হয়নি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা করে দেখালেন। এই রেলপথ কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিপূর্ণতা দেবে। সহায়ক হবে বিদেশী পর্যটক আকর্ষণে। শুধু শীতকাল নয়, বর্ষাসহ সারা মৌসুমে পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণে উৎসাহিত হবে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ সম্পন্ন হলেই ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের পথে একধাপ এগিয়ে যাবে। তাছাড়া কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত মহাসড়ক সম্প্রসারণ করে এর আরও বিস্তৃতি ঘটবে, যা মিয়ানমার হয়ে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিং সিটির সঙ্গে আন্তঃদেশীয় মহাসড়কে সংযুক্ত করবে বাংলাদেশকে। ফলে, পশ্চিমে আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে পূর্বে চীন অবধি ঐতিহাসিক সেইসিল্ক রুটহবে পুনরুজ্জীবিত। জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যকার পূর্বমুখী (লুক ইস্ট) অর্থনৈতিক দুয়ার হবে উন্মুক্ত। বিনিয়োগ-শিল্পায়ন বাণিজ্যিক বন্ধন সহজতর হয়ে উঠবে। কৃষি-খামার শিল্পকারখানায় উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর বাজারজাত এবং রপ্তানি সুবিধার প্রসার ঘটবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের জনসাধারণের কর্মচাঞ্চল্য সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে।

দৃষ্টিনন্দন এই রেলপথকে অধিকতর সৌন্দর্যমন্ডি করতে চট্টগ্রামে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে অত্যন্ত চমৎকার নয়টি স্টেশন। তার মধ্যে কক্সবাজারের ঝিনুক আকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যশোভিত আইকনিক স্টেশনটি দর্শনার্থীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপনায় পরিণত হয়েছে। স্টেশনটি দেখার জন্য প্রতিদিন পর্যটকসহ হাজার হাজার লোকের সমাগম আনন্দময় এক অপূর্ব পরিবেশ তৈরি করে। কক্সবাজার শহরের পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এশিয়ার প্রথম শতভাগ পর্যটনবান্ধব কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছয়তলা বিশিষ্ট এই স্টেশনটি। লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের স্টেশনটিতে রয়েছে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। একদিনের জন্য আসা পর্যটকদের নিরাপদে মালপত্র রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে লাগেজ লকার সিস্টেম এবং তারকা মানের আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা। ছাড়াও আছে মসজিদ, শপিং মল, শিশুযত্ন কেন্দ্র, চলন্ত সিঁড়ি, পোস্ট অফিস, কনভেনশন সেন্টার, এটিএম ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথসহ অত্যাধুনিক নানা সুবিধা।

ক্লান্তিকর সড়কপথের যাত্রার বিকল্প হিসেবে নিয়মিত যাতায়াতকারী এবং দূর-দূরান্তের পর্যটকদের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারকে ঘিরে দেশের পর্যটন খাতে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভবিষ্যতে ট্যুরিস্ট ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন পর্যটন শহরের আদলে বিশেষ ট্রেনে যাত্রাপথে থাকবে নানামাত্রিক সুবিধা। নতুন এই প্রকল্পে প্রতিদিন সকাল-বিকেলে ঢাকা থেকে এবং সকাল-রাতে কক্সবাজার থেকে দুটি করে ট্রেন চলাচল করবে। ৫৪টি কোচের মধ্যে ২০ শতাংশ কোচ অতিরিক্ত হিসেবে যাত্রাপথের উভয় প্রান্তে মজুত রাখা হবে। প্রকল্পের অধীনে থাকবে ছয়টি মিটার গেজ ট্যুরিস্ট কোচ, ২২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার, সাতটি পাওয়ার কার এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার গার্ড ব্রেক। প্রত্যাশিত যে, উন্নত বিশ্বের যে কোনো আধুনিক রেলসংযোগ-স্টেশনের প্রয়োজনীয় নান্দনিক সব সুবিধাদি শোভিত কক্সবাজার এক্সপ্রেস বাংলাদেশ শুধু নয়; অচিরেই দক্ষিণ এশিয়ায় যোগাযোগ উন্নয়নের অধ্যায়কে অধিকতর উঁচুমাত্রিকতায় পৌঁছিয়ে দেবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

×