ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

পিতা-মাতার পাশে

আতিকুল ইসলাম আতিক

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পিতা-মাতার পাশে

পিতা-মাতা হলো পৃথিবীর সকল নেয়ামতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত সন্তানদের জন্য

পিতা-মাতা হলো পৃথিবীর সকল নেয়ামতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত সন্তানদের জন্য। সকল ধর্মে পিতা-মাতার সেবা করার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যখন একটি শিশু জন্ম গ্রহণ করে তখন তার থেকে  অসহায় ও দুর্বল আর কেউ থাকে না। সেই  দুর্বলতাকে সবল করার জন্যই স্রষ্টার দেওয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামত হলো- মা-বাবা, সব ধর্মেই পিতা-মাতার সেবা করার জন্য খুব কঠোরভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে, ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে তোমরা পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচারণ কর, আরও উল্লেখ আছে যে, স্রষ্টার পরে যদি কাউকে সেজদা করার অনুমতি দেওয়া হতো তবে তা হতো পিতা-মাতাকে সেজদা করা। আবার সনাতন ধর্মেও বলা আছে জননী স্বর্গ অপেক্ষা গরীয়সী অর্থ জননী স্বর্গ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, পিতার ব্যাপারে বলা আছে পিতা ধর্ম  পিতাই পরম তপস্যার ব্যক্তি, বৌদ্ধ ধর্মে বলা আছে সবচেয়ে উত্তম হলো পিতা-মাতার সেবা করা, আরও বলা আছে যে, কেউ পিতা-মাতার সন্তুষ্টি অর্জন না করলে স্বর্গে যেতে পারবে না।  পিতা-মাতার এই দুরবস্থার প্রধানত মুখ্য ২টি কারণ উল্লেখ্য করতে চাই তাহলো-
১.ধর্মীয় শিক্ষার অভাব ২. অপসংস্কৃতির সয়লাব।
যদি প্রতিটি সন্তানকে মা-বাবারা সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন তাহলে হয়তো সন্তানদের মাঝে বিবেকবোধটা জাগ্রত হতো। কেননা আমার জানামতে পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম নেই যেখানে মা-বাবাকে ছোট করে দেখা হয়েছে কিংবা অবহেলিত করে রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, অপসংস্কৃতি বলতে এমন কিছু সংস্কৃতিকে লালন করা  যার সঠিকতা রাখতে হাজারও ইচ্ছাকে জীবন্ত কবর দিতে হয়। এর পেছনে সময় দিতে গিয়ে মানুষ ভুলে যায় তার শিকড়, যে শিকড় মাটিতে আঁকড়ে ধরার ফলে আজ সে সর্বোচ্চ অর্জনটা করতে পেরেছে। পিতা-মাতার এই কঠিন দুরবস্থা নিরসন করতে  এই দুইটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া আমাদের অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া পিতা-মাতার সকল দায়িত্ব তথা ভরণপোষণ থেকে শুরু করে সব কিছু দেখাশোনা করা সন্তানদেরই কর্তব্য আর ধর্মীয় অনূভুতি জাগ্রত থাকলে এটা প্রতিটি সন্তানই করবে বলে আশা রাখতে পারি। আসুন আমরা হাতে হাত রাখি কাঁধে কাঁধ মিলে এক মহান শক্তিতে বলিয়ান হই এবং পিতা-মাতার অবস্থান রাস্তা বা বৃদ্ধাশ্রমে নয় বরং তাদের অবস্থান আমাদের তথা (সন্তানদের) সঙ্গেই হোক এই স্লোগানকে মুখরিত করে চারদিকে ছড়িয়ে দেই এবং বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাই।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে

×