ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ২১:১০, ৮ জুন ২০২৩

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে রাজস্ব আদায়ের দিকে

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে রাজস্ব আদায়ের দিকে। একটা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি মূলত ঐ  দেশের অর্থনীতি থেকে সংগৃহীত রাজস্ব। যে দেশে রাজস্ব আদায় বেশি করা সম্ভব হয়, সে দেশ তত বেশি উন্নত এবং সমৃদ্ধ। এশিয়া মহাদেশসহ পুরো বিশ্বের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ খুব কম। বর্তমান বাজেটে রাজস্ব আদায়ের দিকে অনেক বেশি জোর দেওয়ার ফলে নতুন অর্থবছরের বাজেটে ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে কর বাবদ ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত ৫০ হাজার কোটি টাকা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে

জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। ইতিহাসের বৃহত্তম এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বিকেল ৩টা ৫মিনিটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’- শিরোনামে এবারের বাজেটের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ডলার সংকটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা। এছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ভর্তুকির চাপ সামলানো এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা কৃষি, খাদ্য, নতুন কর্মসংস্থান সৃজন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসা।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। বাজেটের এই ব্যয় মেটাতে মোট আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এই লক্ষ্যমাত্রা ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৬৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলো আমরা যদি একটু বিশ্লেষণ করে দেখি তাহলে দেখা যায় যে, এই বাজেট ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে এবং দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।
এই বাজেট হলো বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশ সরকারের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাজেট। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৭৮৬ কোটি টাকার প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। বর্তমানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল  ইতিহাসের ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ টাকার সর্ব বৃহৎ বাজেট উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বের উন্নত এবং সমৃদ্ধ দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশ সরকারের স্মার্ট ও উন্নত রাষ্ট্রের ভিশন পূরণে এই বাজেটের গুরুত্ব অনেক বেশি।  আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। 
বাজেটে বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনকে মুদ্রাস্ফীতির কবল থেকে রক্ষা করে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনদানের লক্ষ্যে সরকার মুদ্রাস্ফীতিকে কমিয়ে মাত্র ৬ শতাংশ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাজেটের অনেক লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী। বর্তমানে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে সব শ্রেণিপেশার মানুষ রয়েছে মূল্যস্ফীতির চাপে। আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় এবং খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকারি উদ্যোগের প্রভাব আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে আশা করা যায়।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে  সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে। পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে এ খাতের জন্য। স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ও প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। যে দেশ যত বেশি শিক্ষা ও প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে, সে দেশ তত বেশি উন্নত ও সমৃদ্ধ। বাজেটের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ব্যয় করা হলে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে অনেক গবেষণা হবে। এর ফলে অনেক ভালো মানের শিক্ষক, গবেষক এবং বিজ্ঞানী তৈরি হবে, যাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট ও উন্নত দেশে পরিণত হবে।

সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়ার তালিকায় রয়েছে পরিবহন, যোগাযোগ এবং ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতও। পরিবহন ও যোগাযোগে বাজেটের ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ১১ দশমিক ১০ শতাংশ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও জনপ্রশাসনে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৪ দশমিক ১০ শতাংশ, গৃহায়নে এক শতাংশ, বিনোদন সংস্কৃতি ও ধর্মে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ, শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিসে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ, পেনশনে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিবিধ ব্যয় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, জ্বালানি ও বিদ্যুতে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, স্বাস্থ্যে ৫ শতাংশ, কৃষিতে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং প্রতিরক্ষায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে রাজস্ব আদায়ের দিকে। একটা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি মূলত ঐ  দেশের অর্থনীতি থেকে সংগৃহীত রাজস্ব। যে দেশে রাজস্ব আদায় বেশি করা সম্ভব হয়, সে দেশ তত বেশি উন্নত এবং সমৃদ্ধ। এশিয়া মহাদেশসহ পুরো বিশ্বের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ খুব কম। বর্তমান বাজেটে রাজস্ব আদায়ের দিকে অনেক বেশি জোর দেওয়ার ফলে নতুন অর্থবছরের বাজেটে ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে কর বাবদ ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত ৫০ হাজার কোটি টাকা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর বাবদ যে রাজস্ব আসবে তার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং ২০ হাজার কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর। এর ফলে সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা আরও বেশি সচল হবে।
স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বর্তমান বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাবদ ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্কিম বাবদ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। এডিপি বহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। এছাড়াও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে (এডিপি বহির্ভূত) ২ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ-তরুণী ও যুবসমাজকে প্রস্তুতকরণের লক্ষ্যে সরকার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট দিয়েছেন, সেখানে উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন। সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ধীরে হলেও বৈশ্বিক পরিম-লে বিশেষ করে আমাদের বাণিজ্য ও প্রবাসী আয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসার সুবাদে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে বলেও আইএমএফের প্রক্ষেপণে প্রকাশ পেয়েছে।
স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এদেশের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান বাজেটে  বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫৮ লাখ ১ হাজার জন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ খাতে সুবিধাভোগীদের মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৫ হাজার থেকে ২৯ লাখ করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশকে একসময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেছিলেন মার্কিন কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার। সেই বাংলাদেশ এখন অনেক বদলে গেছে, বদলে যাচ্ছে। সমৃদ্ধির পথ ধরে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট। সব ধরনের দৈবদুর্বিপাকে ভয়হীন, ঘুরে দাঁড়ানোর ঐকান্তিক স্পৃহায় বলীয়ান, প্রত্যয়ী আর সৃজনশীল জনসাধারণই বাংলাদেশের অন্তহীন অনুপ্রেরণার উৎস। যাদের বিন্দু বিন্দু ঘামের বিনিময়ে, চেষ্টায়, ত্যাগ-তিতিক্ষায় এ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে- সেই কৃষক, শ্রমিক, মজুর, ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক, টেকনিশিয়ান, ড্রাইভার, মিস্ত্রি, কামার, কুমার, জেলে, বেদে, মুচি, ঋষি, ধোপা, তাঁতি, কাঁসারু, শাখারি, স্বর্ণকার, মাঝি, ঘরামি, কাহার, করাতি, পাতিয়ালসহ সব শ্রেণিপেশা ও নৃগোষ্ঠীর মানুষই বাংলাদেশের সম্পদ ও প্রাণশক্তি।

সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় শূন্য থেকে ধীরে ধীরে মহীরুহে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সব মানুষের আশা-প্রত্যাশা ও উন্নয়ন ভাবনার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যয়ে সাজানো হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। এই বাজেট নিঃসন্দেহে একটি স্মার্ট, উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

লেখক : অধ্যাপক, ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

×