.
মুক্তির মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র অর্জনে বাঙালি বীরের জাতির মর্যাদায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ভঙ্গুর পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িক-সামরিক-আঞ্চলিক বৈষম্যের চরিত্র ধারণকারী শাসকগোষ্ঠী নব্য আন্তঃ-ঔপনিবেশিক যাঁতাকলে বাঙালি জাতিকে চরম নিষ্পেষণে নিপতিত করেছিল। স্বাধীন সত্তার বিপরীতে পরাধীনতার গ্লানি সংহার করে মূলত ১৯৪৮ সাল থেকেই মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদাসীন করার আপোসহীন ব্রতে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হওয়া শুরু করে। বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জন মহান স্বাধীনতার রোডম্যাপ তৈরিতে যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে প্রতিভাত। ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার মূলমন্ত্র বা ম্যাগনাকার্টাখ্যাত বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফা স্বাধীনতার নতুন পথপরিক্রমা উন্মুক্ত করে। কালক্রমে ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়, একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ২৬ মার্চ দিবস প্রহরে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের রূপ পরিগ্রহ করে। ত্রিশ লাখ শহীদান, দুই লাখ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে দুর্ধর্ষ যুদ্ধংদেহী পাকিস্তানি হায়েনা ও তাদের দোসরদের শোচনীয় পরাজয়ের পথ ধরে বিশ্ব মানচিত্রে লালসবুজ পতাকার বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে।
১৯৭১ সালে বিজয় মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ দীর্ঘ নয় মাসের রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্বের সমাপ্তি ছিল বটে। যে মহান নেতার নেতৃত্বে জাতির এত বিশাল বিসর্জন ও অর্জন তাঁর অনুপস্থিতিতে হৃদয়ের রক্তক্ষরণে শৃঙ্খলমুক্ত স্বাধীনতার অনন্য স্বাদ গ্রহণ করতে প্রিয় মাতৃভূমির সকল নাগরিক পরিপূর্ণ অপারগ ছিল। গভীর কাতরতার আর্তনাদে অধীর আগ্রহে প্রাণপ্রিয় নেতাকে তাঁরই নেতৃত্বে মুক্ত মাতৃভূমিতে স্বমহিমায় ফেরার উদ্দেশ্যে সেদিন এমন কোনো বাঙালি বা বাঙালি পরিবার ছিল না যারা মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গীর্জাসহ প্রত্যেক ঘরে-ঘরে মহান স্রষ্টার কাছে আকুল প্রার্থনা নিবেদন করেনি। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেই বঙ্গবন্ধু জাতির উদ্দেশে ভাষণে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত যুদ্ধোত্তর দেশকে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্তরিকতা-গতিময়তায় শক্তি জোগানোর অঙ্গীকারে আবদ্ধ করেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার চার স্তম্ভকে প্রতিষ্ঠিত করার নিরবচ্ছিন্ন ও নিরলস কর্মযজ্ঞে নিজেকে নিবেদন করলেন। গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন নবোন্মেষ পরমাত্মা। তবে সংযমিত কণ্ঠে সাবধান করেছেন গণতন্ত্রকে যেন উচ্ছৃঙ্খলতার মোড়কে কলুষিত করা না হয়।
বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে দেশের সমুদয় উৎপাদিত ও প্রাকৃতিক সম্পদ কৃষক-শ্রমিক ও সর্বশ্রেণির মানুষের মধ্যে সুষমভাবে বণ্টনে কৃষকদের সুদসহ বকেয়া খাজনা, পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত জমির কর, লবণ উৎপাদকদের আবগারি শুল্ক, নিবর্তনমূলক ইজাদারি প্রথা ইত্যাদি বিলুপ্ত করেন। দরিদ্র চাষিদের ঋণ, সার, বীজধান প্রদান নিশ্চিতকল্পে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, ক্ষতিগ্রস্ত রেল ও সড়ক সেতু দ্রুত সময়ে পুনর্নির্মাণ, ব্যাংক-বিমা-শিল্প-ব্যবসা সকল বিরাজমান অরাজকতা নির্মূলকল্পে দক্ষ পরিচালক নিয়োগ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ক্রয়/আমদানি এবং চলমান ক্রিয়াশীল পুঁজির সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। ব্যাংক-বিমা, পাট-বস্ত্র-চিনিশিল্প, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন, বৈদেশিক বাণিজ্যসহ শিল্প-কারখানার বৃহদাংশ জাতীয়করণ করেন। জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থি দাবি-দাওয়া উত্থাপনের মনোভাব পরিহার করে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কার্যকর প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজতান্ত্রিক শৃঙ্খলার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেন।
দেশ পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয় উপাদান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর সরকারের বাজেট পরিকল্পনায়। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন নতুন কর আরোপ ছাড়াই ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য ৭৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার পেশকৃত বাংলাদেশের প্রথম বাজেটে রাজস্ব এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয় যথাক্রমে ৪৩৪ কোটি ৫ লাখ এবং ৩১৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। ১৯৭৩-৭৪ সালের অর্থবছরের জন্য বাজেট ছিল ৮৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং এই বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয় যথাক্রমে ২৯৫ কোটি ৩০ লাখ এবং ৫২৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ১৯৭৪-৭৫ সালে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দসহ রাজস্ব এবং উন্নয়ন ব্যয় যথাক্রমে ৪৭০ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং ৫২৫ কোটি টাকা সর্বমোট ৯৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার ব্যয় প্রস্তাব করা হয়। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কল্যাণ ও উন্নয়নমুখী ১৯৭৫-৭৬ সালের বাজেটের পরিমাণ ছিল সর্বমোট ১৫৪৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়ন ব্যয় ছিল যথাক্রমে ৫৯৯ কোটি ১৯ লাখ এবং ৯৫০ কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি নির্দেশনার আলোকে বর্তমান সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মযজ্ঞ সুচারুরূপে সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যে অদম্য অগ্রগতিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্প গ্রহণ করেছেন। দীর্ঘ ক্রান্তিকাল ও অন্ধকারের ষড়যন্ত্রকে নিষ্ফল করে উন্নয়নের সকল সূচক ও বহুমাত্রিকতায় সামষ্টিক উন্নয়নের সার্থক ইতিহাস সৃজনে বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববরেণ্য এবং নন্দিত রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদায় সমাসীন হয়েছেন। ধরিত্রী, সমুদ্র, সীমান্ত বিজয়ী হয়ে দেশকে কিছু সময়ের জন্য খাদ্য রপ্তানি দেশে পরিণত করেছেনও বটে। বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের প্রতিটি খাতেই উন্নয়ন-সমৃদ্ধির অপরূপ ছোঁয়ায় মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নয়নশীল বিশ্বকে ডিঙিয়ে ঈর্ষণীয় অভিধায় দেশকে উন্নয়নের রোলমডেল এবং নিজেকে উন্নয়নের সফল রূপকার হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছেন। জনঅধ্যুষিত মাতৃভূমির বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সার্বিক কল্যাণে কৃষি-কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে অগ্রাধিকার ও শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সুগভীর দরিদ্রতাকে উৎপাটন করে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তারই আলোকে তাঁর সুযোগ্য কন্যা ইতোমধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রমে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক নীতি অবলম্বন করে সুষ্ঠুভাবে বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহতভাবে সচল রেখেছেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু বিচারের রায় কার্যকর করে নির্ভীক সাহসিকতা ও দৃঢ়চেতা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অবিরাম-নিরলস প্রচেষ্টায় অবিচল রয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে জাতির জনকের মতো রাজনীতির কবি শুধু নয়, উন্নয়নের সুদক্ষ প্রকৌশলী হিসেবেও নিজেকে গৌরবোজ্জ্বল ও দেশকে সমুজ্জ্বল করেছেন। প্রায় সাত লাখ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন, বিগত বছরের তুলনায় বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির উদ্যোগ এবং দেশকে চুয়াত্তর বৎসরের অধিক গড় আয়ুর দেশে পরিণত করে বিশ্বে বিস্ময়কর অর্জনের অধিকারী হয়েছেন। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, উড়াল সড়ক, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় সাড়ে তিন কিমি দৈর্ঘ্যরে দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু টানেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক-মহাসড়ক চার ও ছয় লেনে উন্নীত করা হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আসতে বর্তমান সরকার কর্তৃক যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম রেলপথ সম্প্রসারণ-আধুনিকায়নের উদ্যোগ সর্বত্রই সমাদৃত। দক্ষিণাঞ্চলে রেলের পরিধি বৃদ্ধিকরণে পদ্মা সেতুতে রেলের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা পর্যন্ত এবং চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে পদ্মা সেতু ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পর্যন্ত রেলপথ তৈরির জন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন। বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলা ও জেলাপর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি হৃদরোগ, কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, নিউরো, চক্ষু, বার্ন, নাক-কান-গলাসহ বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ন্যূনতম একটি করে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী বছরের মধ্যে আমরা দেড় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছি। বর্তমান জিডিপির আকারে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ধারাবাহিকভাবে এ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে ২৮ এবং ২০৩৬ সালের মধ্যে ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমাদের আশু লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করা। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ-জ্ঞানভিত্তিক এবং স্মার্ট দেশ হিসেবেই বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা অন্তত বাস্তবমুখী ও সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফলভাবে আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ দুঃখজনক হলেও সত্য; বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের সকলক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত-পরশ্রীকাতর অন্ধকারের পরাজিত শক্তি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। দৃশ্যমান এতসব তাৎপর্যপূর্ণ প্রাগ্রসর সমাজে উত্তরণের অনুষঙ্গ বিশ্বস্বীকৃত হলেও দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র নানামুখী কদর্য বেড়াজাল নির্মাণ করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জাতির সাহসিক সত্যের কাঠিন্যে অচিরেই সমূহ বাধা বিপত্তি-অন্তরায়-প্রতিবন্ধকতার দুর্ভেদ্য প্রাচীরের পরিবর্তে ভঙ্গুর নির্মাণশৈলীর মতো বিধ্বস্ত হবেই - জাতির এই প্রত্যাশা অবশ্যই সোনার বাংলা বিনির্মাণে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়