ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদ্রাসায় স্কাউট

প্রকাশিত: ২৩:২১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

মাদ্রাসায় স্কাউট

.

বাংলাদেশ স্কাউটস। দেশের জাতীয় স্কাউট সংগঠন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ‘বাংলাদেশ স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন’ নামে জাতীয় পর্যায়ে স্কাউটিংয়ের সংগঠন গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের ১ জুন বিশ্ব স্কাউট সংস্থা বাংলাদেশ স্কাউট সমিতিকে ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ স্কাউটস’।
বুধবার গাজীপুরের মৌচাকের জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩২তম এশিয়া-প্যাসিফিক এবং ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি ২০২৩-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই কার্যক্রম ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাওয়ার যোগ্য করে শিশুদের গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। তিনি প্রতিটি শিশুকে দেশের একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্কাউটদের নৈতিক ও জীবনমুখী শিক্ষা দিয়ে, সেবা দেওয়ার মানসিকতাসম্পন্ন করে দেশপ্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলেদের পাশাপাশি গার্লস গাইড এবং মাদ্রাসাতে স্কাউট গঠনে কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি চান প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ পায়। কেননা স্কাউটিং নতুন প্রজন্মকে নৈতিক ও জীবনধর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তরুণরা আধুনিক, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল গুণাবলী নিয়ে বিকশিত হয়। ফলে স্কাউট সদস্যরা সেবার মন্ত্রে দীক্ষিত হয় এবং সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম। ইতোমধ্যে স্কাউটসরা পরোপকারী হিসেবে সমাজসেবার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং কোভিডকালীন স্কাউট সদস্যদের আন্তরিকতা উল্লেখযোগ্য।
প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় স্কাউট ভবন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিশ্ব স্কাউটস জা¤ু^রি অনুষ্ঠিত হবে এমনটিই প্রত্যাশা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর। বর্তমানে স্কাউটসের ২২ লাখ সদস্য রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৩০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দী ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ৪৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট অঞ্চলে মৌলভীবাজার জেলায় স্কাউট ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র লালমাই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণের ৪র্থ পর্যায়ের প্রকল্প চলমান। পাশাপাশি স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মৌচাক, গাজীপুরের আওতায় বনভূমি বিনষ্ট না করার শর্তে আরও ৯৫ একর ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী দিনগুলোয় স্কাউটরা সমাজে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা।

 

×