ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুদের সুরক্ষিত রাখুন

ইমরান খান রাজ

প্রকাশিত: ২০:৪৪, ২৩ নভেম্বর ২০২২

শিশুদের সুরক্ষিত রাখুন

বর্তমানে ডেঙ্গু আমাদের দেশে তীব্র আকার ধারণ করেছে

বর্তমানে ডেঙ্গু আমাদের দেশে তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্তের দিক দিয়ে শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সবাই রয়েছে। সাধারণত বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই রোগের বিস্তার অনেকটাই  বেড়ে গেছে। যার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের অসচেতনতা। মানুষজন ডেঙ্গুকে অবহেলা করে বলেই এই রোগের বিস্তার  বেড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই রোগকে সামান্য রোগ ভাবার  কোনো উপায় নেই। কারণ এই রোগে মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা নিহায়ত কম নয়।

২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এতে মৃত্যুও হচ্ছে। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ হাজার ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। ঢাকাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে।
মূলত এডিস মশার কামড়েই মানুষের শরীরে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ ঘটে। তাই এই মশার কামড় থেকে বাঁচতে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি হ্রাস করতে হবে। এডিস মশা সাধারণত  ভোরবেলা ও সন্ধ্যায় মানুষকে কামড়ায়। তাই এ-সময়টাতে সতর্ক থাকতে হবে। তিন দিনের বেশি জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা বেড়ে ওঠে। তাই কোথাও তিন দিনের  বেশি জমে থাকা পানি দেখতে পেলে তা অপসারণ করতে হবে।

বাড়ি কিংবা অফিসের চারপাশের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে। মশারী ব্যতীত না ঘুমানোই  শ্রেয়। তাছাড়া অতিরিক্ত জ্বর, শরীর ব্যথা দেখা দিলে দেরি না করে নিকটতম হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডেঙ্গুতে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনো প্রকার ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের পরিবার, সমাজ তথা দেশের সকল পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি হলে আমরা এই রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।

দোহার, ঢাকা থেকে

×