ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা খাতে সুদিন

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৬ অক্টোবর ২০২২

শিক্ষা খাতে সুদিন

‘শিক্ষাই সব শক্তির মূল’- ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকনের এই বাণীটি চারশ

‘শিক্ষাই সব শক্তির মূল’- ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকনের এই বাণীটি চারশ’ বছরের পুরনো। প্রবাদ বাক্যটি শত শত বছর পরেও সমান প্রাসঙ্গিক, একই মূল্য বহন করে। শিক্ষা ব্যতীত কোন ধরনের অগ্রগতি কল্পনাও করা যায় না। শিক্ষাকে আখ্যায়িত করা হয় একটি জাতির মেরুদ- হিসেবে। বাংলাদেশে যে ৫টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক গুরুত্বারোপ করেছে। গ্রহণ করেছে নানা কার্যকরী পদক্ষেপ। ফলে, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বে আমাদের সাফল্য ঈর্ষণীয়।

আফ্রিকাসহ অনগ্রসর দেশগুলো যখন শিক্ষায় ছেলেমেয়ের সমতা অর্জনে হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই স্তরেই সেই সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও ছাত্রদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে ক্রমাগত। শিক্ষায় দৃশ্যমান সাফল্য বাংলাদেশ সরকারের একটি বড় অর্জন। এই অনন্য অর্জন এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোল মডেল। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা।
একটি উন্নত জাতি গঠনের পূর্বশর্ত হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা। যে জাতির শিক্ষাব্যবস্থা যত উন্নত, সে জাতি তত অগ্রসর। শিক্ষা ব্যতিরেকে কখনও কোন জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারে না। শিক্ষার মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব।

প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চতর শিক্ষা পর্যায়ে আমাদের দেশ শিক্ষার হারে মাইলস্টোন অতিক্রম করেছে। শিক্ষার অগ্রগতি ও প্রসারের কারণেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশ এবং প্রাথমিক শিক্ষার হার প্রায় শতভাগ। বছরের প্রথম দিনেই সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পৌঁছে যাচ্ছে নতুন বই। বিশে^ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির সূচকে বাংলাদেশ এক নম্বরে। সরকার চলতি অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের একটি বড় অংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দিয়েছে যা প্রায় মোট জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রযাত্রায় জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার ভূমিকা অগ্রগণ্য হিসেবে আজ বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হতে যাচ্ছে ২০২৩ সাল থেকে। উল্লেখ্য যে, এ কার্যক্রমে কর্মদিবস হবে মাত্র ১৮৫ দিন। এক বছরে ছুটি ৭৬ দিন। শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আরও ১০৪ দিন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতির পিতার জন্ম দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শোক দিবস এবং বিজয় দিবস রয়েছে। সরকারী ছুটি বাদে ৫ দিন কর্মদিবস অন্তর্ভুক্ত করায় প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা বছর শেষ হবে ১৮০ দিনে।

পূর্বে প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকীর জন্য ২৬ দিন পরীক্ষা নেয়া হতো। এসএসসি পরীক্ষার জন্য ৩৩ কর্মদিবস লাগত। এখন এসএসসি পরীক্ষা ১০ বিষয়ে হওয়ায় তা ১০ দিনেই শেষ হয়ে যাবে। নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীদের কর্মদিবস কমছে না। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সন্তানরা বাসায় থাকে। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে এসব দিবসে শিক্ষার্থীরা ফুলের তোড়া বানাবে, যে গান গাইতে পারে সে গান গাইবে, কেউ শৃঙ্খলা দেখভাল করবে। এর মধ্যেও শিখন এ্যাসেসমেন্ট করা হবে। কিন্তু যেটা হবে তা হলো আগে শিক্ষার্থীদের ৩০০ শব্দের শহীদ দিবসের রচনা মুখস্থ করতে হতো।

কিন্তু এই ধরনের কর্মে শিক্ষার্থীর সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে তা নিজের মধ্যে ধারণ করবে। ফলে, শিক্ষার্থীর মননে চেতনা তৈরি হবে।  ২ অক্টোবর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এরপর বুয়েটে পরীক্ষার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর পাঠানোর কথা। সেখান থেকেই প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে নবেম্বরে এই পদের ফল ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে সারাদেশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এতে অনুমোদিত শিক্ষকের পদ ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০১টি। ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষকদের যোগদানের ফলে প্রাথমিকের শিক্ষক সঙ্কট নিরসন হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানায়, সারাদেশে অনুমোদিত পদের চেয়ে ৩৭ হাজার সহকারী শিক্ষক কম। এ ছাড়াও ৫-৭ হাজার শিক্ষক প্রতিবছর অবসরে যাচ্ছেন। নতুন নিয়োগের ফলে সঙ্কট কেটে যাবে। এবার শিক্ষক পদায়নের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করা হবে। উপজেলাভিত্তিক নিয়োগের কারণে শিক্ষকদের নিজ নিজ উপজেলায় পদায়ন করা হয়।
এবার কিছুক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যাবে। অনেক স্কুলে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় নিজ উপজেলার বাইরেও সমন্বয় করে পদায়নের পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতরের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকে মূল সঙ্কট শিক্ষক নয়, বড় আরও দুই সমস্যা হলো শিক্ষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পদায়ন ও বদলি। এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ চলছে, যা বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক শিক্ষার মূল সঙ্কট দূর হবে। মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর এ সব সঙ্কট সমাধানে কাজ করছে।
নতুন শিক্ষাক্রমের খসড়া থেকে আরও জানা যায়, ১৮৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ৫০০ শিখন ঘণ্টা থাকবে। ১ম-৩য় শ্রেণীর জন্য ৬৩০ শিখন ঘণ্টা, ৪র্থ-৫ম শ্রেণীর জন্য ৮৪০ শিখন ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে ষষ্ঠ-৮ম শ্রেণীর শিখন ঘণ্টা হাজারের ওপরে ১০৩০ ঘণ্টা। ৯ম-১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য শিখন ঘণ্টা ১১০০ ও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য তা ১,১৫০ শিখন ঘণ্টা হবে।
এনটিআরসিএর মাধ্যমে ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ॥ দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল ও কলেজের শূন্য পদের শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহ করেছে এনটিআরসিএ। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রায় ৭০ হাজার শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। এর আগে দেশের বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় একসঙ্গে এত বেশি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দেয় এনটিআরসিএ। সে অনুযায়ী এবার চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে তারা। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু এর মধ্যে অন্তত ৪০ ভাগ ইনডেক্সধারী শিক্ষক থাকায় এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক ঘাটতি থেকেই গেছে।
শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়োগ শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি জেলার শূন্য পদের চাহিদা আসার পর তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সে অনুযায়ী এবার বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। এ সব পদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হলে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এবার শিক্ষক আবেদনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিস্কুলে ১০০ টাকার বিনিময়ে আবেদন করা যেত। ফলে হাজারো স্কুলে আবেদনে লাখ টাকা ব্যয় করতেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই সঙ্কট সমাধানে এবার হাজার টাকার বিনিময়ে ৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে।
এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল ও কলেজের শূন্যপদের শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহ শেষ। শিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরি অধিদফতরে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এ তালিকা পাঠানো হয়েছে। তালিকা আসলে প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মতি আছে।
বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকতা পেশা নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছিল করোনা মহামারীতে। এ সময় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকতা ছেড়ে কেউ সবজি বিক্রেতা হয়েছিলেন, কেউ আবার গ্রামে ফিরে চাষবাস শুরু করেছেন। ওই সময় তিন শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছিল। করোনার সময় ৭০ ভাগ শিক্ষক পেশা ছেড়েছিলেন বেতন না পাওয়া, অনিশ্চিত ভবিষ্যতসহ নানা কারণে। সুখবর হলো, মহামারীর সঙ্কট কেটে যেতেই ৭৫ ভাগ শিক্ষক আবার এই পেশায় ফিরে এসেছেন।
২০২৩ সাল থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের সবচেয়ে বেশি সময় পড়ানো হবে মাতৃভাষা বাংলা। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শতকরা বিবেচনায় ২৫ ভাগ সময় হিসেবে ১২৫ ঘণ্টা পড়ানো হবে এই বিষয়ে। গণিত বিষয়ে এই স্তরের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হবে ১০০ ঘণ্টা। শতকরা হিসেবে যা মোট শিখন সময়ের ২০ ভাগ। নতুন শিক্ষাক্রম দেশের মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি। শিখানোর নতুন পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা খুশি। শিক্ষকরাও বলছেন, পদ্ধতিটি ভাল কিন্তু পুরোমাত্রায় চালু করার আগে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে।
বর্তমান সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১। বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭.৭ ভাগে। সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ‘শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’।

শিক্ষায় সরকারের আরও একটি অন্যতম সাফল্য জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করা। প্রতিবছর কোটি কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে, যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। প্রতিবছর ১ জানুয়ারিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি স্কুল-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যবই পৌঁছে যাচ্ছে। পালিত হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস। আগে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতো। ২-৩ মাসের আগে ক্লাস শুরু করা সম্ভব হতো না। এখন শিক্ষাব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বহুলাংশে। বাড়ছে উপস্থিতি। ঝরে পড়ার হার কমে গেছে।
শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের অর্জন বিপ্লবের প্রতিরূপ।

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে সফলতার যে প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছে, ভবিষ্যতেও তা বলবত থাকবে বলেই আশা করা যায়। ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আকাক্সক্ষায় শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, তথাপি বিকল্প নেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রযাত্রায় জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অগ্রগণ্য হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে আনন্দ নিকেতন, সেই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। তাই জোর দিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের আসল কারিগর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লেখক : ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

×