ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব শান্তির ডাক

নাজনীন বেগম

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ৩ অক্টোবর ২০২২

বিশ্ব শান্তির ডাক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে ইউক্রেন-রাশিয়ার আত্মঘাতী সংঘাত, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সারাবিশ্বে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব ও দূষণের ওপর জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর আগে জাতিসংঘের সদর দফতরের ‘ট্রাস্টি শিপ কাউন্সিলে ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডার্সের’ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক অভিমত তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মাতৃভাষায় তাঁর বক্তব্য দেয়াও বাঙালী জাতির জন্য বিরাট গৌরব ও অহঙ্কারের বিষয়। সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যিক বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় অভিষিক্ত করা সহজ বিষয় ছিল না।

দুঃসাহসিক মনোবলে বঙ্গবন্ধু যে বিষয়টির শুভ সূচনা করেছিলেন তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি সেটিই সম্মান আর গৌরবের সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছেন। শুধু তাই নয় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের যোগ্য স্থানটুকু দেয়াও প্রধানমন্ত্রীর অবিস্মরণীয় কর্মের পরম নিদর্শন। সরকারপ্রধান এবার তাঁর বিদেশ সফরের সব ধরনের কর্মসূচীতে শুধু সীমাবদ্ধ বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব পরিসরের নানামাত্রিক ঘটনা-দুর্ঘটনা সুচিন্তিতভাবে চিহ্নিত করে তার যথাযোগ্য সমাধানের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি নারীর প্রতি তাঁর সময়োপযোগী কর্মযজ্ঞসহ তাদের মানুষের মর্যাদায় বেঁচে থাকার আবেদন জানান। সেটাও নিজ দেশের সীমানা থেকে বিশ্ব পরিসরের বৃহৎ আঙ্গিনা পর্যন্ত।

ইউরোপ-আমেরিকা সফরের আগে তিনি আমাদের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ ভারত সফর করেন, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া থেকে বৃহত্তর এশিয়াসহ বিশ্বায়নের সমস্যা, সমাধান এবং ব্যাপক সম্ভাবনারও দিকনির্দেশনা তিনি দিয়ে যান। ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারকসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা করে আসেন। সেই ২০১৭ সাল থেকে উদ্ভূত রোহিঙ্গা সমস্যার কোন সমাধান আজ অবধি হয়নি। বরং বিভিন্ন সময় তা অনাকাক্সিক্ষতভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে।

মিয়ানমার সীমান্তে নতুন করে সাংঘর্ষিক ঘটনাক্রম বাংলাদেশের জন্য আর এক বিপর্যয়। ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে গত ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে শুধু আশ্রয় দেয়াই নয়, বরং তাদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাও প্রধানমন্ত্রীর নজরকাড়া মানবিক কার্যক্রম। যার কারণে বিশ্ব পরিসরে তাঁকে ‘মানবতার জননী’ মর্যাদায় অভিষিক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শাসনকার্যের বিভিন্ন পালাক্রমে দেশ ও জাতির মঙ্গলে আজ পর্যন্ত তাঁকে পেছনের দিকে তাকাতে দেখা যায়নি। উন্নয়নের জোয়ারে অবকাঠামোর দৃষ্টিনন্দন অভিযোজন ছাড়াও নারীদের যে মাত্রায় বিভিন্ন কর্মপ্রকল্পে সম্পৃক্ত করেছেন তাও এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। সারাবিশ্বে নারীদের দুর্বিষহ জীবনযাত্রা, বিভিন্ন কর্মকান্ডে অপেক্ষাকৃতভাবে পিছিয়ে থাকা এক দুঃসহ ক্রান্তিকাল। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। সঙ্গত কারণে অবধারিত উন্নয়ন স্রোতের বিপরীত প্রতিক্রিয়া হিসেবে নানা সমস্যা-সঙ্কট দৃশ্যমান হয়।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শিল্প বিপ্লবের নেতিবাচক প্রতিঘাতে হরেক বিপর্যয় মাথাচাড়া দেয়ায় সমাজবিজ্ঞানীরা নানাভাবে গবেষণাসমৃদ্ধ প্রতিবেদনও তৈরি করতে থাকেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শিল্প বিকাশের ধ্রুপদি যুগে দৃষ্টিকটুভাবে উঠে আসতে থাকে আত্মহত্যার চরম প্রকোপ, কিশোর অপরাধ, অতিমাত্রায় বাল্যবিয়ে এবং নারী নির্যাতন। সুসময়-অসময় যেন যমজ ভাইয়ের মতো পাশাপাশি বিরাজ করে। শুধু তাই নয়, আধুনিক সমাজবিজ্ঞানীরাও বলেন, উন্নয়ন-অনুন্নয়ন নাকি একই মুদ্রার উল্টো পিঠ (ফ্রাঙ্ক)। আমাদের দেশও তেমন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করার এক বিব্রতকর অবস্থায়। এটা যে কোন দেশের জন্য ঘটনা, দুর্ঘটনা তো বটেই।

সঙ্গত কারণে শাসনের অধিকর্তা হয়ে যাকে দেশ চালাতে হয় তিনিও থাকেন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত বাধা-প্রতিবন্ধকতাকে অদম্য মনোবলে জয় করেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছু জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তিনি দ্বিধাহীন, অকুণ্ঠিত। এই মহৎ কাজ সম্পাদনে তাঁর নিজের মহামূল্যবান জীবনও হরেক বিপর্যয়ে আবর্তিত।
বিভিন্ন দেশ সফর করে দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এবার ভারত সফরে গিয়ে বাংলাদেশের শিল্প, অবকাঠামো, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে বিনিয়োগ করতে সেদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এফবিসিসিআই ও সিআইআইর যৌথ অনুষ্ঠান সে সময় আয়োজন করাও তাঁর এক অনন্য কর্মপরিকল্পনা। আর অমীমাংসিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা সব জায়গায় উত্থাপন করা হয়। অথচ অসংহত রাষ্ট্রটি নিজ দায়িত্বে আজ অবধি একজন রোহিঙ্গাও সেদেশে ফেরত নেয়নি।
এবারে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণদানকালে মিয়ানমার প্রসঙ্গ খুব জোরালোভাবে উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ওপর সমধিক গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বনেতাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতেও উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের উন্মত্ততা থামানোর ওপরও জোরালো অভিমত ব্যক্ত করেন। উন্মত্ত বিশ্বকে থামাতে গেলে অস্ত্রের ঝনঝনানি প্রতিরোধ করা সময়ের দাবি হয়ে যায়।

যুদ্ধাস্ত্রের প্রতিযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়াতে দেয়া যাবে না। যে কোন সহিংস উন্মাদনা থামাতে গেলে লড়াই, সংগ্রাম সমস্যা সমাধানের পথ হতে পারে না। বরং আলাপ-আলোচনা, দ্বিপক্ষীয় সংলাপ বিরোধ নিষ্পত্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। পাল্টাপাল্টি বৈরী পন্থা অবলম্বন কোন জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। সঙ্কটকে উত্তরণ করতে গেলে যুদ্ধ কোন সমাধান নয়, বরং শান্তির পথের পারস্পরিক মতৈক্যর ভিত্তিতেই তা সুরাহা করা সঙ্গত। সরকারপ্রধানদের বিশ্বব্যাপী শান্তির আবাস তৈরি করার ওপর সবিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। মানবকল্যাণে শান্তি আর স্বস্তির বিকল্প নেই।
রোহিঙ্গা সমস্যাকে আর বাড়তে দেয়া কারও জন্যই শুভ নয়। না বাংলাদেশ, না মিয়ানমার। নিজ দেশের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা প্রায় ৫ বছর পরবাসী জীবন কাটাচ্ছে বাংলাদেশে। গণহারে তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ৫ বছর পার হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা, সীমান্তে তাদের সাংঘর্ষিক দুর্ঘটনা বিরাজমান থাকায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিড়ম্বনা আরও বাড়তে পারে। 

আর বাংলাদেশ ১০ লাখ বহিরাগত রোহিঙ্গার সার্বিক দায়-দায়িত্ব কতদিন বহন করবে তারও কোন কূল-কিনারা নেই। সবচেয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় মিয়ানমার নিজেই। আপন সীমানায় ভাল থাকার সুযোগটুকু পর্যন্ত তারা ক্রমাগত হারিয়ে ফেলছে। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্রোহের আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলছে। তার তাপ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সীমান্তে লাগতে কতক্ষণ বলা মুশকিল। সুতরাং সঙ্কট আরও ঘনীভূত হওয়াকে যেভাবেই হোক ঠেকানো অত্যন্ত জরুরী। অবশ্যই যুদ্ধ কিংবা মারণাস্ত্র নয়, বরং শান্তিপূর্ণ পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই তা করতে হবে। যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে কোন দেশ বা জাতিকে অঘোষিত সংঘর্ষে জড়িয়ে নিলে নারী, শিশুসহ গোটা মানবসমাজই আক্রান্ত হতে পারে।

এখানে বিশ্বনেতাদের কার্যকরী ভূমিকা যেমন প্রয়োজন একইভাবে জাতিসংঘকেও তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণদানকালে যুদ্ধে আক্রান্ত দেশগুলোকে শান্তির বার্তায় নতুনভাবে পথ দেখানো এখন সকলের অভীষ্ট লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশ যে দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটে আবদ্ধ হয়ে আছে সেখান থেকে বের হয়ে আসা জরুরী। এমন আশঙ্কাজনক সমস্যা যদি আরও দীর্ঘ হয় তাহলে শুধু উপমহাদেশেই নয়, তাতে বৃহত্তর এশিয়া থেকে সারা পৃথিবী উত্ত্যক্ত হয়ে উঠতে পারে। আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অস্থিরতা তৈরি করতে যুদ্ধে উন্মত্ত বিশ্ব যেন আর বেশি সম্প্রসারিত হতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারির প্রয়োজন।

বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য বিশ্ববাসীকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আর জাতিসংঘ তো আমাদের সার্বিক সঙ্কট নিরসনে প্রাসঙ্গিক সব নির্দেশনা দিয়েও থাকে। সামনে সেটা আরও বেশি প্রমাণ করে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনাও এক প্রকার সচেতন দায়বদ্ধতা।
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব ও মানবজাতি পরিবেশ দূষণের হুমকিতে চরমভাবে আবর্তিত। শিল্প বিকাশের নিত্যনতুন উদ্ভাবনী শক্তিতে বিশ্ব এগিয়েছে বহুদূর। কিন্তু প্রকৃতি তার সহজাত স্নিগ্ধতা এবং সহনীয় আবহ থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে। বাতাসে কার্বন নিঃসরণের ভয়াবহতায় নৈসর্গতার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে এখন বিপন্নপ্রায়। তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রকৃতির কোলে লালিত সন্তানদের ওপর। বন্যা, খরা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হ্রাস পাওয়া সব যেন দিশেহারা প্রকৃতির চরম প্রতিশোধ।
সেখান থেকেও ধরিত্রীকে বাঁচাতে হবে সহনীয় মাত্রায় তাপ নিঃসরণ করে, যা শিল্প বিপ্লবের আগের দেড় থেকে ২ ডিগ্রীর ওপরে যেন কোনভাবেই অতিক্রম করতে না পারে। সঙ্গত কারণে বায়ুম-লে কার্বন নিঃসরণ থামাতে হবে। প্রকৃতি সহায়ক প্রযুক্তির নব উদ্ভাবন ছাড়াও চলমান অবস্থাকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সহনীয় করে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্যপীড়িত সমাজে নারীর সমঅধিকারই শুধু নয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার স্বাধীনতার ওপরও বিশেষ প্রাধান্য দিয়েছেন। কেবল মতামতই নয়, বরং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার তার সহজাত এবং নাগরিক বিধিও বটে। পারিবারিক ও পেশাগত জীবনে হরেকরকম কর্মপরিকল্পনায় নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশীদারিত্বকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া সমীচীন। নেতৃত্বে মহিলাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী অতীতের নজির খাড়া করে বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে হরেকরকম দুর্যোগ দুর্বিপাকে নারী এবং শিশুরাই হয়েছে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত এবং নিপীড়িত। আর পশ্চাৎপদ সমাজ ব্যবস্থায় নারীর অধিকার ও স্বাধীনতাহীনতা যেন বরাবরই উপেক্ষিত। তবে প্রধানমন্ত্রী আশান্বিত হয়ে উল্লেখ করেন তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিক বলয়ে নারীরা গতানুগতিক অব্যবস্থাকে অদম্য মনোবলে অতিক্রম করার মাধ্যমে নিজেদের নজরকাড়া অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সরকারপ্রধান দৃঢ়তার সঙ্গে অভিমত ব্যক্ত করেন গোটা মানবজাতির কল্যাণে ইতিবাচক ফলাফল আনতে সমতাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার বিকল্প কিছু হতে পারে না। নারীরা এখন অপ্রতিরোধ্য দুঃসাহসে এবং নেতৃত্বের সক্ষমতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়ে নিজেদের প্রমাণ করছেন।
লেখক : সাংবাদিক

×