ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পররাষ্ট্রনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য

ওয়ালিউর রহমান

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

পররাষ্ট্রনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য

পররাষ্ট্রনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এনে দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সাহস, শক্তি ও সুদৃঢ় অবস্থান।
২১ আগস্ট ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যখন লন্ডনে গলব্লাডারের অপারেশনের পর জেনেভায় সপরিবারে আগমন করেন তখন প্রায় ২২ দিনের মতো ছিলেন। ঐ সময় আমি জেনেভায় হেড অব মিশন। সেই সময় তাদের কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো ছিল জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। তখন বঙ্গবন্ধুর খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে।

জেনেভাতে থাকাকালীন একদিন বিশ্বখ্যাত রোলেকস কোম্পানির দাওয়াত এসেছিল বঙ্গবন্ধুর সম্মানে। এখানে একটু ব্যবসায়িক আঙ্গিক ছিল। ভাবী ও শেখ হাসিনা দুজনেই বলে উঠলেন, ‘যাওয়া ঠিক হবে না’। এতে সমালোচনা হবে। আমার দিকে তাকালেন বঙ্গবন্ধু। আমিও একমত। এই না যাওয়ার সিদ্ধান্ত একটি বড় দিকনির্দেশনা দেয়।  শেখ হাসিনার যুগপথ ‘না বলায়’ তার একটা আদর্শ বা চিন্তাশীল মনের আভাসও পাওয়া যায়। শেখ হাসিনার ‘না’ বলা থেকে একটা ফোরশ্যাডোইং আগাম সংকেত পাওয়া যায় তার রাজনৈতিক দর্শনের।
তার লিডারশীপ কোয়ালিটি লক্ষ্য করেছি জেনেভাতে। বিভিন্ন ঘটনায়। সময়ের ডাকেই তিনি এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর পাশে। দীর্ঘ একুশ বছর। ১৫ আগস্টের পর। ক্ষুধার্ত নেকড়ের দল একুশটি বছর সবকিছু কামড়ে-হিঁচড়ে ছিন্নভিন্ন করেছিল। সামরিক বা আধাসামরিক শাসন। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে ওরা ভয় পেত। ওরা ভয় পেত ৩০ লাখ শহীদের লাল রক্তকে। তাই তড়িঘড়ি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবকিছু দুমড়ে-মুচড়ে ফেলার অপচেষ্টায় ছিল। যুদ্ধাপরাধীরা দেশকে পাকিস্তানের একটি উপনিবেশ করার তৎপরতা শুরু করে। পাঠ্যপুস্তক বদলালো, পোশাক বদলালো, খাল খননে নতুন কিছু দেখানোর অপচেষ্টা করল।
১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এক দীর্ঘ স্বৈরাচার-সামরিক-সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছেন শেখ হাসিনা। সকল প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের এই দীর্ঘ চলার পথে ফুল বিছানো ছিল না। পদে পদে বিপদ ও মৃত্যুর ঝুঁকি তাকে তাড়া করেছে। বাংলাদেশের শত্রু যারা বাংলাদেশকে চায়নি, পাকিস্তানের কলোনি হয়ে থাকতে চেয়েছে, তারা বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। শেষবার হলো ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে। ওরা চেয়েছিল স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করতে। কিন্তু সেটা তারা পারেনি। সর্বশক্তিমান আল্লাহ জননেত্রীকে রক্ষা করেছেন। এত কিছুর পরও তিনি দমে যাননি। জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি এগিয়ে চলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যথার্থই বলেছেন, ‘নিজের পরিবারের ১৬ জন সদস্যকে হারাল, তারপরেও শেখ হাসিনা ঠা-া মাথায় চিন্তা করে যুক্তির মাধ্যমে দেশে এসে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশকে গড়তে প্রতিজ্ঞা করে কাজ করে যাচ্ছেন।’
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দৃঢ়তার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি বললেন, ‘আমি ক্ষমতার জন্য রাজনীতিতে আসিনি। এসেছিলাম একটি হারানো স্বপ্ন উদ্ধার এবং একটি রক্তাক্ত আদর্শের পতাকা আবার তুলে ধরার জন্য। কোন কিছু পাওয়ার জন্য আমি জেল-জুলুম ও গুলির মুখে বুক পেতে দেইনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যে ৩০ লাখ ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন, সেই বীর শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ হায়েনারা গড়ে তুলতে দেয়নি। সেই বীর শহীদদের স্বপ্ন সফল করা এবং জিয়া-এরশাদ পদ্ধতির স্বৈরশাসনের কবল থেকে বাঙালী জাতির স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার লড়াইয়ে আমি নিজেকে উৎসর্গ করেছি।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে শেখ হাসিনা তার যোগ্যতা, সততা, আত্মত্যাগ, দূরদর্শিতা ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর কঠিন বাস্তবতার মধ্যেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার স্থিতিশীল ধারাক্রম বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। সরকার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সদ্ভাব রেখে ভারসাম্যের কূটনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এর সুফলও পাচ্ছে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে চীন-ভারত, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া, চীন-জাপান এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব আর লুকোছাপার বিষয় নয়। বাংলাদেশ এই পাঁচ প্রভাবশালী দেশের সঙ্গে সংহত অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং ক্ষেত্রবিশেষে কৌশলগত সামরিক সহযোগিতার সম্পর্কও গড়ে তুলতে পেরেছে।
এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপহাস করা হতো, যেরকমটি বলেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। জুস্ট ফালেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ইজ আ টেস্ট কেইস অব ডেভেলপমেন্ট।’ সে জায়গা থেকে বিশ্বব্যাংকের মতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের আদর্শ। স্বল্পোন্নত থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্সের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশে ব্যাপক বেকার সমস্যা, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশবিরোধী রাজাকার-আল বদরের আমলে হাহাকার ছিল। এখন মানুষের জীবনে সব ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্য নিরাপত্তা, শান্তি চুক্তি, সমুদ্র বিজয়, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিশ্বে অনুকরণীয়।
প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের চেয়ে দ্রুতগতিতে বড় হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। চীন, ভারত, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ একটি স্ট্র্যাটেজিক প্লেয়ার হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এটি আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ যেমন- বিমস্টেক, বিসিআইএম, বিআরআই, বিবিআইএন-এর ক্ষেত্রে সত্য, তেমনিভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

চীন-ভারত-যুক্তরাষ্ট্রসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। সাফটা, বিমস্টেক, আপটা, ডি-৮, পিটিএ, এফটিএ উল্লেখযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১২ বছরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, ন্যামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করেছেন।
পদ্মা সেতু তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের পক্ষপাতদুষ্ট নীতির প্রতি নতি স্বীকার না করে বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বতন্ত্র স্ট্র্যাটেজিক প্লেয়ার হিসেবে সক্ষমতার বহির্প্রকাশ করেছে। নির্মাণ জটিলতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং বৈদেশিক চাপ, সব প্রতিবন্ধকতাকে সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করে স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। এ সেতু কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিই বদলে দেবে।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জন্য একটি আদর্শ হিসেবে উপনীত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে এটিকে ব্যাহত করার প্রয়াস ছিল। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট আন্তর্জাতিক আইনের পরিমার্জন ও পরিবর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
ইটলস (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঞৎরনঁহধষ ভড়ৎ ঃযব খধি ড়ভ ঃযব ঝবধ)-এ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে কমপিট করে যৌক্তিক সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বতন্ত্রভাবে সক্ষমতা দেখিয়েছে। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিশ্বে উদাহরণ হয়ে আছে।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। এই ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে বেশিরভাগই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাকিগুলোও অর্জনের পথে রয়েছি আমরা। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত বছর সেপ্টম্বরে ‘এসডিজি প্রোগ্রেস এ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন। বাংলাদেশের বড় প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সর্বতোভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করে চলেছে, যা অন্য কোন সরকার শাসনামলে হয়নি। এবারের সফরেও দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করবে।
তার আঞ্চলিক এবং পররাষ্ট্রনীতি পরাশক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সঠিক নীতি। এসবই তাকে একটি বিশেষ স্বতন্ত্র অবস্থাান দিয়েছে পৃথিবীতে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশকে দিয়েছেন একটি মর্যাদার স্থান। বাঙালী জাতির উন্নতির অগ্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমরা পিছনের ইতিহাস থেকে দেখি একটা দেশ যখন বড় হয় তার দরকার হয় লিডারশীপ। মার্কিন মুলুকে জর্জ ওয়াশিংটন না থাকলে ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স হতো না। আব্রাহাম লিংকন যদি চীফ জাস্টিস ট্যানির কথা শুনতেন- পাওয়ার অব হেবিয়াস করপাস তুলে নিতে হবে, কোন ব্যক্তিকে এরেস্ট করা যাবে না তাহলে আজকে এক আমেরিকা থাকত না। দুটি আমেরিকা থাকত। ঠিক একইভাবে নেপোলিয়ান এবং গল দিয়েছেন আধুনিক ফ্রান্স। আর মজ্জিনি ও গ্যারিবল্ডি দিয়েছেন ইতালি। ম্যাগনাকার্টা ব্রিটেনকে দিয়েছে আইনের দেশ। মাও সেতুং দিয়েছেন চীন। মহাত্মা গান্ধী এবং নেহরু আধুনিক ভারত সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করছেন।
শেষ করি জন্মদিনের এই ছোট অর্ঘ্যটি দিয়ে। টি এস এলিয়টের ‘ফোর কোয়ার্টেটস’ থেকে
‘ঐড়সব রং যিবৎব ড়হব ংঃধৎঃং ভৎড়স. অং বি মৎড়ি ড়ষফবৎ ঃযব ড়িৎষফ নবপড়সবং ংঃৎড়হমবৎ, ঃযব ঢ়ধঃৎড়হ সড়ৎব পড়সঢ়ষরপধঃবফৃৃওহ সু বহফ রং সু নবমরহহরহম’.

 লেখক : সাবেক সচিব

×