ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু

ডঃ ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১২ আগস্ট ২০২২

মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু

.

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুতীর্থকবিতার কিছু পঙ্ক্তি নিবেদনে নিবন্ধের সূচনা করতে চাই- কেউ বা অলক্ষিতে পালিয়ে যেতে চায়, পারে না;/অপরাধের শৃঙ্খলে আপন বলির কাছে তারা বাঁধা।/পরস্পরকে তারা শুধায়, “কে আমাদের পথ দেখাবে”/পূর্ব দেশের বৃদ্ধ বললে, “আমরা যাকে মেরেছি সেই দেখাবে”/সবাই নিরুত্তর ও নতশির।/বৃদ্ধ আবার বললে, “সংশয়ে তাকে আমরা অস্বীকার করেছি,/ক্রোধে তাকে আমরা হনন করেছি,/প্রেমে এখন আমরা তাকে গ্রহণ করব,/কেননা, মৃত্যুর দ্বারা সে আমাদের সকলের জীবনের মধ্যে সঞ্জীবিত, সেই মহামৃত্যুঞ্জয়”/সকলে দাঁড়িয়ে উঠল, কণ্ঠ মিলিয়ে গান করল, “জয় মৃত্যুঞ্জয়ের জয়।।বিশ্বময় এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে; অসত্য-অন্যায়ের কাছে ন্যূনতম মাথা নত না করে জীবন বিসর্জনে অবিচল বঙ্গবন্ধু জীবন্ত কিংবদন্তির অভিধায় বিশ্ব ইতিহাসে অচ্ছেদ্য অধ্যায়ে চিরকাল অত্যুজ্জ্বল থাকবেন

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এই দিনে শুধু বাংলাদেশ নয়, ধরিত্রীর অবারিত ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট-নৃশংস-বর্বরতম যে ঘটনাটি সমগ্র বিশ্ববাসীকে অবাক বিস্ময়ে দেখতে হয়েছে, সেটি হলো প্রায় সপরিবারে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাকালের মহানায়ক রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্মম হত্যকান্ডএই হত্যাকান্ডকে ঘিরে প্যারিসের বিখ্যাত লা মঁদেপত্রিকার রবার্ট এসকারপি, লন্ডনের দি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’, ‘দি লিসনারপত্রিকার সংবাদদাতা ব্রায়ন ব্যারনসহ দেশীয়-আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে খ্যাতির শীর্ষে অধিষ্ঠিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী এবং খ্যাতিমান সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী-সম্মানিত রাজনীতিক/রাষ্ট্রনায়কদের মন্তব্য এতই হৃদয়গ্রাহী ও আবেগঘন ছিল যা শুধু বাঙালী নয়; বিশ্বের সমগ্র শুভ-মঙ্গল-কল্যাণকামী বিবেকবান জনগোষ্ঠীকে অজস্র কাঁদিয়েছেএই ক্রন্দন ধ্বনি এখনও এত বেশি সঞ্চারিত ও প্রবল বহমান যা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে শহীদ অবিসংবাদিত মহাননেতা বঙ্গবন্ধু কত যে অধিকতর শক্তিমান তা যথার্থ অর্থেই বিশ্ববাসীর হৃদয়গভীরে প্রোথিত

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সুচিন্তিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা যে সম্ভব শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রমাণ সমগ্র পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছিলেনবঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালীর বন্ধু ও অধিনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির পথপ্রদর্শক ও মহাননেতাতা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর উসাহ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি চেয়েছিলেন বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সভ্যতা, সর্বজনীন শিক্ষা-ব্যবস্থা, সব মানুষের মানবাধিকারের স্বীকৃতিতাঁর সাবলীল চিন্তাধারার সঠিক মূল্য শুধু বাংলাদেশ নয়, সমস্ত পৃথিবীও স্বীকার করবে এ আশা আমাদের আছে এবং থাকবেপ্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন-চরিত, আদর্শিক-রাজনৈতিক ও বাঙালীর-মুক্তি নেতৃত্বের গভীরে বপিত ছিল বিশাল মহিমা ও মহানুভব চিন্তাচেতনার নিরঞ্জন বিচয়ন। 

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও গবেষক মিঞা মুজিবুর রহমানের রচিত জাতির জনকগ্রন্থে তিনি যথার্থভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বঙ্গবন্ধু তাঁর নেতৃত্বের এক সম্মোহনী শক্তি ও জাদুস্পর্শে ঘুমন্ত, পদানত বাঙালীদের জাগিয়ে তুলে উদ্দীপ্ত করেছিলেন স্বাধীনতার মন্ত্রে১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল প্রকাশিত নিউজউইক ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবিহিসেবে আখ্যায়িত করে যে মন্তব্যটি উপস্থাপন করেছে, বস্তুতপক্ষে তা অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাপর্যপূর্ণতা ছিল এ রকম, “মুজিব মৌলিক চিন্তার অধিকারী বলে ভান করেন নাতিনি একজন রাজনীতির কবি, প্রকৌশলী ননশিল্প-প্রকৌশলের প্রতি উসাহের পরিবর্তে শিল্পকলার প্রতি ঝোঁক বাঙালীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিককজেই সকল শ্রেণী ও আদর্শের অনুসারীদের একতাবদ্ধ করার জন্য সম্ভবত তাঁর স্টাইলসবচেয়ে বেশি উপযোগী ছিলএ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ মার্চের ভাষণকে এক অনবদ্য কবিতা এবং বঙ্গবন্ধুকে মহাকবি হিসেবে ভূষিত করার অবারিত যুক্তি রয়েছেএজন্যই বঙ্গবন্ধু বিশ্বপরিমন্ডলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এক অনির্বাণ সদাদীপ্ত পাঠশালায়

যে অভূতপূর্ব অমিয় বাণীটি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বসভায় অত্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে সুমহান মর্যাদায় আসীন করেছে তা হলো তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীগ্রন্থের স্বগতোক্তি: একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবিএকজন বাঙালী হিসেবে যা কিছু বাঙালীদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উস ভালবাসা, অক্ষয় ভালবাসা, যে ভালবাসা আমার রাজনৈতিক এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলেঅতএব বলা যেতে পারে বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বিশ্বমানব এবং অবিচল মানবধর্মের অন্যতম স্রষ্টাতাঁর মানস পর্যালোচনায় এটিই উদ্ভাসিত যে, তিনি সকল ধর্ম-বর্ণ-দলমতের উর্ধে এক প্রমিত মহাত্মাআমরা সম্যক অবগত আছি যে, ভারতের জাতির পিতা পরম শ্রদ্ধেয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্য; আত্মার অমিয় শক্তিতে বিশ্বাসী অহিংস সংগ্রাম; শান্তি ও কালজয়ী মানবতার জন্য মহাত্মাউপাধিতে ভূষিত করেছিলেনভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প-িত জওহরলাল নেহেরুর উদ্দেশে বিশ্বজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘আমাদের তুমিই একমাত্র ভরসা, তোমার পদচিহ্নই আগামীকালের পৃথিবীর কক্ষপথরবিঠাকুর তাঁকে ঋতুরাজবলে অভিহিত করেছিলেন

বাঙালীর বঙ্গবন্ধু বিশ্বপরিমন্ডলে একই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ভাবনা-সংগ্রাম-ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর শোষিত-বঞ্চিত-স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীর বিশ্ববন্ধু হিসেবে নন্দিত ও সমাদৃতবস্তুতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত, জীবন-সমাজ-রাষ্ট্র-শিক্ষাদর্শন, বৈশ্বিক সম্পর্ক ইত্যাদি পর্যালোচনায় এটি বরাবরই প্রতীয়মান হয়েছে, তিনি ছিলেন অনগ্রসর বাঙালী সমাজের বিদ্যমান সকল কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, মানবাধিকারবিরোধী কার্যকলাপ, শোষণ-বঞ্চনার কঠিন অন্ধকার দূরীভূত করে বাঙালী জাতিসত্তার ভিত্তিতে আধুনিক-গণতান্ত্রিক-সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টাতাঁর সততা, সত্যবাদিতা, নির্ভীক সাহসিকতা, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি নিখাদ ভালবাসা ছিল অতুলনীয়এদেশের সমগ্র জনগণ তাঁর নেতৃত্বে আস্থাশীল হয়ে অকাতরে ত্রিশ লাখ প্রাণ এবং দুই লাখ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ প্রপতন বিসর্জনে অর্জন করেছে এই স্বাধীন মাতৃভূমি

১৯৬৯, ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক রাজনীতিক বাংলার দুই অবিসংবাদিত জননেতা শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা ফজলুল হকের মাজারসংলগ্ন আয়োজিত শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর ভাষণে অত্যন্ত আবেগ ভরা কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এ দেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে বাংলাকথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকুও চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে। .... একমাত্র বঙ্গোপসাগর ছাড়া আর কোনো কিছুর নামের বাংলাকথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাইতাই সেইদিন বাঙালী জাতির চিরায়ত ঐতিহ্যিক এই আবাসভূমিকে পূর্ববঙ্গ বা পূর্ববাংলা নয় বাংলাদেশনামেই এটির নামকরণ করেছিলেন

জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের ভাষায়, এই ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তাঁর এবং বাঙালী জাতির মধ্যে অবিচ্ছেদ্য আঙ্গিক সম্পর্ক নির্মাণ করেছেনএটিই ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদের অভীষ্টতম চারণক্ষেত্র

৬ জানুয়ারি ১৯৭০ বঙ্গবন্ধু এবং শ্রদ্ধেয় নেতা এইচএম কামারুজ্জামান যথাক্রমে পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হনসকলের জানা আছে যে, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে প্রচন্ড মনোবেদনায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং বিরূপ অভিজ্ঞতায় ক্ষুব্ধসে সময় নির্বাচনী প্রচার অভিযানে বঙ্গবন্ধু তাঁর অপরিমেয় জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সম্যক উপলব্ধি-ঋদ্ধ হলেনবঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “আমি যে গ্রামেই যেতাম, জনসাধারণ শুধু আমাকে ভোট দেওয়ার ওয়াদা করতেন না, আমাকে বসিয়ে পানদানের পান এবং কিছু টাকা আমার সামনে নজরানা হিসেবে হাজির করত এবং না নিলে রাগ করততারা বলত, এ টাকা নির্বাচনের খরচ বাবদ দিচ্ছে

আমার মনে আছে, খুবই গরিব এক বৃদ্ধ মহিলা কয়েক ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, শুনেছে এই পথে আমি যাব, আমাকে দেখে আমার হাত ধরে বলল, ‘বাবা আমার এই কুঁড়ে ঘরে তোমায় একটু বসতে হবেবঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন এবং রাজনৈতিক জীবন প্রবাহের মূলেই ছিল লোভ, হিংসা ও অহঙ্কারকে নিধন করে সততা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রজ্বলন ঘটিয়ে মেহনতি মানুষের হৃদয় জয় করা এবং সামগ্রিক অর্থে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সকলের জন্য সুখী ও কল্যাণকর জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

বঙ্গবন্ধু আরও লিখেছেন, “আমি তার হাত ধরেই তার বাড়িতে যাইঅনেক লোক আমার সাথে, আমাকে মাটিতে একটা পাটি বিছিয়ে বসতে দিয়ে এক বাটি দুধ, একটা পান ও চার আনা পয়সা এনে আমার সামনে ধরে বলল, ‘খাও বাবা, আর পয়সা কয়টা তুমি নেও, আমার তো কিছুই নাইআমার চোখ দিয়ে পানি এলআমি দুধ একটু মুখে নিয়ে, সেই পয়সার সাথে কিছু টাকা তার হাতে দিয়ে বললাম, ‘তোমার দোয়া আমার জন্য যথেষ্ট, তোমার দোয়ার মূল্য টাকা দিয়ে শোধ করা যায় নাটাকা সে নিল না, আমার মাথায় মুখে হাত দিয়ে বলল, ‘গরিবের দোয়া তোমার জন্য আছে বাবানীরবে আমার চক্ষু দিয়ে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়েছিল, যখন তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি

সেই দিনই আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, মানুষের ধোঁকা আমি দিতে পারব নানিঃশঙ্কচে, নিঃসেন্দেহে, দৃঢ়ভাবে বলা যায়; এই ব্রত ব্যঞ্জনার কোথাও কখনও নূ্যূনতম ব্যত্যয় ঘটেনি এই মহান নেতার জীবনেরবিঠাকুরের বিস্ময়কবিতায় আবারও ফিরে যেতে হয়, ‘আবার জাগিনু আমি।/রাত্রি হল ক্ষয়।/পাপড়ি মেলিল বিশ্ব।/এই তো বিস্ময় অন্তহীন

যে পাকিস্তানী সেনারা বঙ্গবন্ধুকে সামান্যতম স্পর্শ করার সাহস করেনি, বিচারপতি মাহমুদ হোসেনের ভাষায় বিপথগামী ও উচ্চাভিলাষী বাঙালী সেনা সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কুখ্যাত ইয়াহিয়া খানের আদেশ বাস্তবায়ন করল ইতিহাসের বর্বর ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ দিয়ে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে প্রাণে নিঃশেষ করার মাধ্যমেকিন্তু ইতিহাস বড় কঠিন এবং সত্য প্রতিষ্ঠায় ইতিহাস বড় নির্মমইতিহাস বরাবরই সঠিক অবস্থানে সমুজ্জ্বল থাকে  এটিই ইতিহাসের শিক্ষাস্বল্প পরিসরে বিশদ ব্যাখ্যার অবকাশ না থাকলেও এটুকুই বিনয়ের সঙ্গে নিবেদন করা যায় যে, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক এবং প্রচীয়মান নেতৃত্বের প্রকীর্তিতুল্য বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর বিকল্প শুধু বঙ্গবন্ধুইআজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে পরিবারের শহীদ সদস্যসহ সকলের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি

 

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

×