ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০

কৌশলগত অংশীদার

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২ এপ্রিল ২০১৮

কৌশলগত অংশীদার

কৌশলগত অংশীদারদের জন্য দরজা উন্মুক্ত রাখার সময় এখন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারণ করা গেলে বাজারেরও ঘটবে বিস্তৃতি। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে নিয়ে যাবে আন্তর্জাতিক মানে। সেইসঙ্গে আসবে প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগ। আর স্বাভাবিকভাবেই বিদেশী বিনিয়োগ বাড়লে স্থানীয় বিনিয়োগও বাড়বে। সব মিলিয়ে বাজার আরও ভালর দিকে যাবে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার পরিণত হবে আন্তর্জাতিক মানের একটি শক্তিশালী বাজারে। এমন আভাস পেয়েছেন বিনিযোগকারীরাও। তাই তারা হয়েছেন বাজারমুখী। এতে বাজারও হয়ে উঠছে চাঙ্গা। দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শেয়ারবাজার বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে দেশের সবচেয়ে বড় এই শেয়ারবাজার ব্যবস্থাপনা ও মালিকানা পৃথকীকরণের (ডি মিউচুয়ালাইজেশন) অনুমোদন দেয় সরকার। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কৌশলগত অংশীদারদের কাছে চার ভাগের এক ভাগ শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্চ তথা ডিএসই। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে ও শেয়ারবাজার আধুনিকায়ন করতে পারবে এমন অংশীদার চায় ডিএসই। ডিএসইর মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক করা সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী ডিএসইর মোট শেয়ার ২৫০ সদস্যের মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করা হয়। এসব শেয়ারের মধ্যে ৪০ শতাংশ সদস্যের নিজেদের জন্য আলাদা করা হয়। বাকি ৬০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫ শতাংশ কৌশলগত বা ৪৫ কোটি নয় লাখ ৪৪ হাজার টাকার ১২৫টি শেয়ার কৌশলগত বা স্ট্র্যাটেজিক বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট করা আছে। আইনে ডিএসইর পরিচালনা পরিষদে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি পরিচালনা পদও রক্ষিত রয়েছে। ডিএসইর ১৮০ কোটি শেয়ারের মধ্যে ২৫ শতাংশ কৌশলগত অংশীদারদের কাছে বিক্রির বিধান রয়েছে আইনে। ৩৫ শতাংশ বিক্রি করা হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। ডিএসইর সিদ্ধান্ত যৌক্তিক এবং সঠিক অবশ্যই। উন্নত প্রযুক্তি সুবিধা, ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসা উন্নয়নে পরামর্শক সেবা পাওয়াটা ডিএসইর জন্য জরুরী। আর সেই লক্ষ্যেই কৌশলগত অংশীদার প্রয়োজন। ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনতে চাইছে চীন ও ভারত। প্রাথমিকভাবে চীনের প্রস্তাবনায় অনুমোদন দেয় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পর্ষদ। তবে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অবস্থান ভারতের পক্ষে। এখানে আবার প্রস্তাবনার ক্ষেত্রে ফারাক রয়েছে। চীনের সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের একটি কনসোর্টিয়াম ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিটি ২২ টাকা মূল্যে পাঁচ কোটি শেয়ার ক্রয়ের প্রস্তাব রেখেছে। এছাড়া প্রায় তিন শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে শেয়ারবাজারে টেকনিক্যাল সহায়তা দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। চীনারা আগামী দশ বছরের মধ্যে বিনিয়োগের কোন অংশ ফেরত চাইবে না। অপরদিকে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা এনএসইর একটি কনসোর্টিয়াম প্রতিটি ১৫ টাকা মূল্যে শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। আমেরিকান নাসডাক ও ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আছে প্রতিষ্ঠানটির। তারা পরিচালনা পরিষদে দুটি পরিচালক পদ চেয়েছে। ডিএসই কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন দেয়। যদিও চীনের কিছু শর্ত বাংলাদেশের আইন পরিপন্থী থাকায় তা সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে। তারা রাজিও হয়েছে। চীনের প্রধান তিনটি স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে সাংহাই ও শেনজেন রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে। বাজার মূলধনের দিক থেকে বিশ্বের সেরা দশটি স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাতেও রয়েছে তারা। দুটি কনসোর্টিয়ামের প্রতিযোগিতার মধ্যে একটিকে নির্ধারণ করার ক্ষেত্র হিসেবে আইন ও নীতিকে অবলম্বন করাই বাঞ্ছনীয়। বিএসইসির উচিত হবে নিজস্ব শর্ত ও নীতি মেনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া, যাতে পুঁজিবাজারের স্বার্থ থাকে অক্ষুণœ। দুটি বড় প্রতিবেশীর সঙ্গেই বাংলাদেশের রয়েছে সুসম্পর্ক এবং তা বন্ধুত্বপূর্ণ। তাই জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখেই এগুতে চাইছে বাংলাদেশ। অংশীদারিত্বের দরজা তাই খুলে রেখেছে।

শীর্ষ সংবাদ:

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ
দেশের ভাবমূর্তি আরো জোরদার করতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
আমাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই, যুক্তরাষ্ট্রকে ওবায়দুল কাদের
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে ফের আবেদন
ফ্রিল্যান্সারদের রেমিট্যান্স থেকে দিতে হবে ১০ শতাংশ কর
দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা
তামিম ইস্যুতে মাশরাফির ভিডিও প্রকাশ (ভিডিও)
আমদানি অনুমতির ১০ দিন, এখনও আসেনি ডিম
আওয়ামী ক্ষমতায় না থাকলে দেশ অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রী
তামিমের আচরণ বাচ্চাদের মতো: সাকিব
১৫ দিনের ব্যবধানে আবারও বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
রাষ্ট্রীয় ছুটির দিনে কলেজে পরীক্ষা, সর্বত্র সমালোচনা