ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিনা দরপত্রে পরিবহন ভাড়া ও তেলের ভুয়া বিল, বাপেক্স প্রশাসন ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২৪ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:৪১, ২৪ মে ২০২৫

বিনা দরপত্রে পরিবহন ভাড়া ও তেলের ভুয়া বিল, বাপেক্স প্রশাসন ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবিঃ সংগৃহীত

বিনা দরপত্রে পরিবহন ভাড়া নেয়া, তেলের ভুয়া বিল প্রদর্শন করে বাপেক্স থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও কর্মচারীদের পদোন্নতিতে অনিয়মসহ নানা অভিযোগ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপক প্রশাসন একেএম মোস্তফা হাসানের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন, জ্বালানি সচিব ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন নাজমুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী। 

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাপেক্সের ব্যবস্থাপক প্রশাসন এ কে এম মোস্তফা হাসান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগকৃত একজন কর্মকর্তা। এর আগে বহুবার তার নিয়োগ অডিট আপত্তি হলেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এছাড়া তিনি বাপেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আনা নেওয়ার জন্য ২৬টি মাইক্রোবাস ও ছয়টি মিনিবাস টানা ১৫ বছর ধরে বিনা দরপত্র আহ্বান করে সময় বৃদ্ধির মাধ্যমে আমির হোসেন আমুর ভাগিনা বলে খ্যাত মেসার্স তন্বিতা সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী বাদল এবং তার সহযোগী মোহাম্মদ নেসারকে এককভাবে সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে সংস্থার কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছেন। 

এছাড়াও বিপুল পরিমাণ কমিশনের ভিত্তিতে তিনি বাপেক্সের সকল স্থানীয় ক্রয় কার্য সম্পাদন করে থাকেন। বাপেক্সের অগ্নি নিরাপত্তা সিস্টেমটি তার নিয়ন্ত্রণে এবং সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থাপনায় তিনি কাজটি সম্পাদন করেছেন এবং বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। যা ফায়ার সেফটি রুলসের সাথে মারাত্মক সাংঘর্ষিক ও ঝুঁকিপূর্ণ। বিভিন্ন সময় কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বদলি ও চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।  

অভিযোগে বলা হয়, সাবেক জ্বালানি সচিব নুরুল আমিনের জন্য সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি ক্রয় করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় ঠিকাদার ও সাধারণ সরবরাহকারীদেরকে ওয়্যার কোয়াটার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছেন। 

তার অধীনে আউটসোর্সিং হতে রাজস্ব খাতে বহিরাগত কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে, অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাপেক্সে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। প্রতিটি অস্থায়ী নিয়োগে প্রত্যেক কর্মচারী কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি মোস্তফা হাসান পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের সমমানের দাপ্তরিক স্পোর্টস পাজেরো ভিআইপি গাড়ি ব্যবহার করেন, যা তার চাকরিরত গ্রেডের আওতাভুক্ত না। 

এ ব্যাপারে জানতে এ কে এম মোস্তফা হাসানকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ইমরান

×