জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।
কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৩ নভেম্বর দাবিগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে সোহেল তাজ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেলো, অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!
এরপর তিনি নিজের তিনটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো:
.১.যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পোস্টে সোহেল তাজ আরও লেখেন, আমি মনে করি, আমার এ তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবার প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি, আগামী ৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেবো এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবো।
মূলত তার এই দুই নাম্বার দাবির পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ অফলাইনে ব্যাপক আলোচনার শুরু হয়। যেখানে ৭ মার্চ ১৫ ই আগষ্টসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি করা হয়।সেখানে নতুন করে তার এই দাবি আবারো আলোচনা জন্ম দিচ্ছে।
এখন দেশের জনগণ মনে করছেন তাজের এই দাবির সাথে যদি সরকার একাত্নতা পোষণ করে তাহলে তারা শীগ্রই পেতে যাচ্ছেন নতুন জাতীয় শোক দিবস।এখন দেখার বিষয় সরকার সহ জনগণ তাজের এই দাবির সাথে কতটুকু একাত্নতা পোষণ করে।
ফুয়াদ