সংবাদ সম্মেলন
শরীয়তপুর সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক সঞ্জিতকুমারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছে তার পরিবার। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন তারা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্ত বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী তোলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে নিহতের ভাই অজিত কুমার দাস বলেন, সঞ্জিত কুমার দাস শিরীয়তপুর সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। ডেপুটেশনে কালিয়া সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে কাজ করতেন। গত বছরের ৪ঠা মার্চ সাতক্ষিরার আশাশুনি থানার মিত্র-তেতুলিয়া গ্রামের বাবুল মিত্র’র মেয়ে বীথি রানী মিত্রের সাথে বিয়ে হয়। কিন্ত ওই বিয়েটি ছিলো একটি প্রতারনা মাত্র। সঞ্জিতকে খাবার সাথে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়। এতে করে অসস্থ্যবোধ করতে থাকে সঞ্জিত। এমনকি বিয়ের রাতেই স্ত্রীর কাছে না থেকে অথবা স্ত্রীকে সাথে না নিয়ে খুলনার বাসায় ফিরে আসে সঞ্জিব। এরপর কালিয়া চলে গেলে বিয়ের দশম দিনে গত ১৩ই মার্চ স্কুলের অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তেরখাদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। এদিকে খবর শুনেই বীথি রানী মিত্র তার ভাই এবং একদল লোকজন সঞ্জিতদের বাড়িতে এসে লাশের হাত থেকে অংটিসহ ঘরে থাকা অন্যান্য গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। যাবার সময় আগে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য সঞ্জিবের পরিবারকে মুক্ত করে যায়। কিন্তু ঘটনার ঘটনার ১২ দিনের মাথায় সঞ্জিবের সরকারী টাকা ও সম্পত্তির ভাগ নিতে আবেদন করে। হিন্দু শাস্ত্রের আইন অমান্য করে তার আবেদন গ্রহন করে তার নামে চেক ইস্যু করা হয়।
তিনি বলেন, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে প্রতারনা করে বিথীকা রানী বিথী সেজে সঞ্জিবকে হত্যা করেছে। আবার তার টাকা ও সম্পত্তি লুটে নিচ্ছে চক্রটি। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় এখন তাদের পরিবারের সদস্যদেরও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বিথী রানী সব অভিযোগ অস্বিকর করে বলেন, অনেক আগে থেকেই আমার স্বামী সঞ্জিত অসুস্থ্য ছিলেন। যেটা বিয়ের আগে আমাদের জানানো হয়নি। এখন মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি সহ টাকা গয়না তারাই আত্মাৎ করতে আমাদের হত্যাকারী সাজানোর অপচেষ্টা করছেন।
লাবু