ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চার্জার ফ্যানের আকাশচুম্বি দাম 

প্রকাশিত: ১৩:০৩, ৮ জুন ২০২৩; আপডেট: ১৩:০৮, ৮ জুন ২০২৩

চার্জার ফ্যানের আকাশচুম্বি দাম 

চার্জার ফ্যান

একদিকে তীব্র দাবদাহ আরেকদিকে লোডশেডিং। দুয়ে মিলে দেশের মানুষের এখন হাঁসফাঁস অবস্থা। এ অবস্থায় প্রচণ্ড গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে মানুষ উপায় খুঁজছে। ফলে বেড়েছে চার্জার ফ্যানের (রিচার্জেবল ফ্যান) চাহিদা। রাজধানীর বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের দোকানে এখন দেড় থেকে দুইগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে চার্জার ফ্যান।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ দোকানে নেই চার্জার ফ্যান। এমনকি একটি ব্র্যান্ডের শোরুমেও মেলেনি এ ধরনের ফ্যান। সবারই এক কথা, স্টক শেষ।

রাজধানীর গুলিস্তানের স্টেডিয়াম মার্কেটে ফ্যান মিললেও  ৮ হাজার টাকার ওই কম্বো (এসি-ডিসি) ফ্যানের দাম চাচ্ছে ১৪ হাজার টাকা।

এক ক্রেতা জানান, অনলাইনে এই ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। বলছে স্টক আউট।

স্টেডিয়াম মার্কেটে চার্জার ফ্যানের শত শত ক্রেতা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন তারা। বেশিরভাগ ক্রেতা বলেন, তাদের এলাকার দোকান বা শোরুমে চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে স্টেডিয়াম মার্কেট ও নবাবপুর মার্কেটে ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, সংকটকে পুঁজি করে এখন চার্জার ফ্যানের দাম নেওয়া হচ্ছে দেড় থেকে দুইগুণ।

দেখা গেছে, ক্রেতারা দোকানে দোকানে ঘুরে চার্জার ফ্যানের দরদাম করছেন। কিন্তু পছন্দ হলেও দামে মিলছিল না। 

আরেক ক্রেতা বলেন, গত ২৭ রমজানে একটি চার্জার ফ্যান কিনি তিন হাজার ৫০০ টাকায়। ওই ফ্যানের দাম এখন চাচ্ছে ছয় হাজার। 

তিনি বলেন, লোডশেডিং এতটাই বেড়েছে যে থাকা যাচ্ছে না। কয়েকদিন অসুস্থ ছিলাম গরমের কারণে। ফলে বাধ্য হয়েই চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি।

 দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রতিটি ছোট চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা। মাঝারি আকারের (হাফ স্ট্যান্ড) ফ্যানের দাম তিন থেকে চার হাজার টাকা বেড়েছে। এছাড়া বড় স্ট্যান্ডের চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। তবে বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চার্জার ফ্যানের দাম।

গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের বিক্রেতারা জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ফ্যানের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। যে কারণে বাধ্য হয়ে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমের সঙ্গে অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ের কারণে চার্জার ফ্যানের চাহিদা এখন তুঙ্গে। চাহিদার এই পরিমাণ ফ্যানের জোগান এখন আমদানিকারকদের কাছে নেই। তারা বছরে চার থেকে পাঁচ লাখ চার্জার ফ্যান আমদানি করেন। কিন্তু এবার চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে তৈরি হয়েছে পণ্যের সংকট, বেড়েছে দামও।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হারে কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধি ও এলসি খোলার জটিলতার কারণে আমদানি খরচ আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে এসবের প্রভাবও রয়েছে বাজারে।


 

টিএস

×