ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জেলা পরিষদ নির্বাচন

বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর, অফিস ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল

প্রকাশিত: ০১:৫৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর, অফিস ভাংচুর

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুর লোকজনকে বেদম মারধর

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের হলরুমে ব্যাপক হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হলরুমের চেয়ার, টেবিল ও মাইক্রোফোন তছনছ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুর ছয় সমর্থকসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার পরও হামলা চলেছে বলে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইল জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড এবং পরে সাধারণ ওয়ার্ডে প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সাধারণ ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী খোকন কুমার সাহা এবং ওবায়দুর রহমান একই তালা প্রতীক দাবি করায় তাদের মাঝে বাগবিত-া শুরু হয়। নিয়মানুযায়ী লটারির সিদ্ধান্ত হলে খোকন কুমার সাহা তা প্রত্যাখ্যান করে ওবায়দুর রহমানকে গালমন্দ করে মুখে কিলঘুষি মারলে ওবায়দুরও পাল্টা কিলঘুষি মারেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনার মধ্যেই হলরুমের পূর্বপাশে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুর প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শরিফুল ইসলাম এবং সমর্থনকারী কাশিপুর ইউনিয়নের মেম্বার সৈয়দ নওয়াব আলীকে হঠাৎ করেই মারধর শুরু করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেনের লোকজন। অভিযোগ রয়েছে- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ পারভেজ, জয়, সাদি ছাড়াও আরও কয়েকজন তাদের মারধর করেন। হামলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ছয় সমর্থক আহত হন।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে প্রস্তাব ও সমর্থনকারীসহ কয়েকজন প্রতীক বরাদ্দের সময় ডিসি অফিসে যান। অফিসের মধ্যে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আমি মামলা করব। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, আমি আনারস প্রতীক চেয়েছি। অন্যদিকে, সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুর সমর্থকরাও আনারস চেয়েছেন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল হাসান বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত। ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

×