কমলাপুর রেলস্টেশন
ঈদে নাড়ির টানে ঘরে ফেরার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে। ঈদযাত্রার প্রথম ট্রেন রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর ছেড়ে যায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ১৮টি ট্রেন ছেড়ে যায়। এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ের হিসাবে দেরিতে ছেড়েছে ৬টি ট্রেন। আর প্রথম দিনই দেরিতে ট্রেন ছাড়ায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন সংশ্লিষ্টরা শিডিউল বিপর্যয় মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, দেরিতে ট্রেনগুলো স্টেশনে আসায় সেগুলো দেরি করে ছেড়েছে। শিডিউল মেনে ট্রেন ছাড়ার বিষয়ে তাঁদের প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদযাত্রার বাকি দিনগুলোতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রা করতে পারবেন বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষের আশা।
ঈদযাত্রার প্রথম দিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মজীবী অনেকেই আগেভাগে পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক।
কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চিলাহাটিগামী ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। সেটি ১ ঘণ্টা দেরিতে স্টেশন ছেড়ে যায়। রাজশাহীগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ সকাল ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা দেড় ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাড়ে ৭টায় স্টেশন ছাড়ে।
খুলনাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ সকাল সোয়া ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা সাড়ে ৯টার দিকে স্টেশন ছাড়ে। এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ২৫ মিনিট, রংপুর এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরিতে স্টেশন ছেড়ে গেছে। তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস বেলা ১১টায় স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘স্টেশনে ট্রেন বিলম্বে আসায় ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটলে বা দুর্ঘটনা না হলে আমরা ঈদযাত্রার বাকি দিনগুলোতে ঠিক সময়েই ট্রেন ছাড়তে পারব।’
ঈদে রেল দুর্ঘটনার বিষয়ে এই স্টেশন ব্যবস্থাপক বলেন, ‘অনেকেই ঈদযাত্রায় ট্রেনে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। প্রতিটি স্টেশনে বলা আছে, যেন যাত্রীরা নিরাপদে নামতে পারে এবং কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে। কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও যাত্রীরা যেন নিরাপদে ওঠানামা করতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’ স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরার বিষয়ে মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মাস্ক পরার বিষয়ে যাত্রীদের বলা হচ্ছে। যাত্রীদের কতটা সচেতন, তাঁরা কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’