
স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাদুঘরের নিদর্শন নষ্ট করলে ১০ বছর কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আইন, ২০২১-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশগুলোকে আইনে রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা থাকায় এটিকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। আইনে স্থাবর নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে ১০ বছর কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নিদর্শন চুরি, পাচার বা ক্ষতি করলে পাঁচ বছর কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড দেয়া হবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে এসব কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা যোগ দেন সচিবালয় থেকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা আইনে, ২০২১-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, পশু-পাখির চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে আইনে বলা আছে। দর্শনার্থীরা কিভাবে ঘুরবেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সুবিধাবঞ্চিত বা প্রতিবন্ধীদের চিড়িয়াখানা দেখার জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যদি কেউ ফি ছাড়া চিড়িয়াখানায় ঢোকে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছিল, মন্ত্রিসভা এটিকে পরিবর্তন করেছে। কারণ ঢোকার ফি অনেক কম। এজন্য দুই মাসের জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হচ্ছে। পশুর ক্ষতি করলে কী হবে, সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ভেটিংয়ের সময় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।
এছাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগের অধ্যাদেশকে বদলে এ আইন করা হচ্ছে।
এককালীন চাঁদা দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের এই ট্রাস্টের সদস্য হতে হয়। এরপর শিক্ষকদের পাশাপাশি তাদের পোষ্যরা এখান থেকে সুবিধা পাবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। ট্রাস্টি বোর্ডে আটজন তিন বছরের জন্য দায়িত্বে থাকবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হবেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।
কোন শিক্ষক মারা গেলে তার নাবালক, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তানরা এই ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পাবেন। সরকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অনুদান হিসেবে কিছু দিলে ট্রাস্ট তা গ্রহণ করতে পারবে। বিধি দিয়ে বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেয়া হবে।