ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে শিশু সন্তানের সামনেই মাকে জবাই

প্রকাশিত: ০৯:১২, ৩০ মার্চ ২০১৯

 টাঙ্গাইলে শিশু সন্তানের  সামনেই মাকে জবাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৯ মার্চ ॥ টাঙ্গাইলে চার বছরের কন্যা সন্তানের সামনেই মাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত রেজিয়া বেগম ওই ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী আরিফ হোসেন স্ত্রী। তিনি এক ছেলে আর এক কন্যা সন্তানের জননী। টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ও স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের রক্ষিত বেলতা মাদ্রাসায় তার ছেলের জন্য রাতের খাবার নিয়ে যান সৌদি প্রবাসী আরিফ হোসেনের স্ত্রী রেজিয়া বেগম। ছেলেকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে দুষ্কৃতকারীরা রাস্তার পাশের একটি ধান ক্ষেতে তাকে জবাই করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে গলাকাটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর পাশে থাকা শিশুটির কান্নার শব্দে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে দেখতে পান। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ায় দর্জি নিজস্ব সংবাদদাতা কুষ্টিয়া থেকে জানান, দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক টেইলার্স মাস্টার (দর্জি) খুন হয়েছেন। নিহতের নাম ওমর আলী (৬০)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার জিয়ারখি ইউনিয়নের বেলঘরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছোট ভাই আবদার শেখ জানান, সদর উপজেলার ভাদালিয়া বাজারে টেইলার্সের দোকান রয়েছে নিহত ওমর আলীর। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নিহত ওমর আলী বেলঘরিয়া গ্রামের আফসার শেখের ছেলে। বরিশালে গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরবর্তীতে পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাগধা গ্রামের। জানা গেছে, ওই গ্রামের দাউদ হাসান মিয়ার সঙ্গে গত আট মাস আগে বাল্যবিয়ে হয় উজিরপুর উপজেলার পূর্ব সাতলা গ্রামের নান্নু পাইকের কন্যা নারগিস আক্তারের (১৭)। দাউদ কর্মের সুবাধে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার রাতে নারগিসকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনেক আগেই নারগিস মারা যাওয়ার কথা জানালে শ্বশুর বাড়ির লোকজনে কৌশলে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে নারগিস আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওইদিন রাতেই দক্ষিণ বাগধা গ্রাম থেকে নারগিসের লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানায়, বাল্যবিয়ের শিকার নারগিস স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুর পরিবারের লোকজনের নির্যাতনে মারা গেছে। অন্য একটি সূত্র জানায়, নারগিস ধর্ষিত হয়ে হত্যার শিকার হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নারগিসের শ্বশুর পরিবারের লোকজন আত্মগোপন করেছে। সাতক্ষীরায় গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, সাতক্ষীরায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী সাবানা খাতুনকে (২৭) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে কলারোয়া উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, এ ঘটনার পর নিহত গৃহবধূর স্বামী রিপন হোসেন পলাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধূ সাবানা খাতুন যশোরের শংকরপুরের সামটা গ্রামের ইসমাইল গাজীর মেয়ে। নিহত গৃহবধূর ভাই আবুল কাশেম জানান, তার বোন সাবিনা খাতুনের সঙ্গে উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে রিপন হোসেনের দীর্ঘ ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। এর পর থেকে প্রায়ই তার স্বামী রিপন যৌতুকের দাবিতে তার বোনকে মারপিট করে নির্যাতন চালাত। রাতে কোন কারণ ছাড়াই তার বোনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে ও গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে রিপন। পরে এলাকাবাসী তার বোনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে ভোর রাতে সে মারা যায়। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে । সিলেটে যুবক স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, নগরীর শেখঘাট এলাকায় নিজের পেটে চুরি দিয়ে আঘাত করে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ব্যক্তি নগরীর শেখঘাটের এ্যাডভোকেট মৃত আবুল ফজলের ছেলে ফজলে রাব্বি তানভির (৩৫)। পরিবারের লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে খাওয়া-দাওয়ার পর নিজের রুমে শুতে যান তানভির। শুক্রবার সাড়ে ১২টার দিকে তার মা তাকে ডাকতে যান। অনেক ডাকাডাকির পরে সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ বেলা ২টার দিকে দরজা ভেঙ্গে তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, এটি আত্মহত্যা কি না অধিকতর তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব হচ্ছে না। তানভিরের তলপেটে ছুরিকাঘাত রয়েছে। জানা যায়, আম্বরখানার প্রত্যাশা নামক একটি মাদক নিরাময় সংস্থায় কাজ করতেন তানভির।
×